চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় আগুন
Published: 22nd, February 2025 GMT
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় এক পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে পাঁচটায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এবালন ফ্যাশন লিমিটেড নামের জ্যাকেট তৈরির কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। তবে আগুনে কারখানার কাপড় পুড়েছে।
আগুনের খবর পেয়ে বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম নগরের মোহরা ও কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে দুটি করে ছয়টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব কালুরঘাট বাদামতলে এবালন কারখানা ভবনের চতুর্থ তলায় রাখা কাপড়ে আগুন লাগে। এতে ভবনটির জানালা দিয়ে আগুন আর কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হতে দেখা যায়। এ সময় কারখানা ভবন থেকে বের হয়ে আসেন শ্রমিকেরা।
বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এবালন ফ্যাশন লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক তপন সরকার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কারখানায় জ্যাকেট, ব্যাগ ও পোশাক তৈরি করা হতো। চারতলা ভবনের নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত শ্রমিকেরা কাজ করেন। কারখানায় ৪৪০ জন শ্রমিক কাজ করেন। চতুর্থ তলায় কাপড় রাখা হতো। দুপুরের খাবার খাওয়ার কক্ষ ছিল তার ওপরের তলায়। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ণয় করা যায়নি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’