চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় এক পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে পাঁচটায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এবালন ফ্যাশন লিমিটেড নামের জ্যাকেট তৈরির কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। তবে আগুনে কারখানার কাপড় পুড়েছে।

আগুনের খবর পেয়ে বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম নগরের মোহরা ও কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে দুটি করে ছয়টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব কালুরঘাট বাদামতলে এবালন কারখানা ভবনের চতুর্থ তলায় রাখা কাপড়ে আগুন লাগে। এতে ভবনটির জানালা দিয়ে আগুন আর কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হতে দেখা যায়। এ সময় কারখানা ভবন থেকে বের হয়ে আসেন শ্রমিকেরা।

বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এবালন ফ্যাশন লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক তপন সরকার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কারখানায় জ্যাকেট, ব্যাগ ও পোশাক তৈরি করা হতো। চারতলা ভবনের নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত শ্রমিকেরা কাজ করেন। কারখানায় ৪৪০ জন শ্রমিক কাজ করেন। চতুর্থ তলায় কাপড় রাখা হতো। দুপুরের খাবার খাওয়ার কক্ষ ছিল তার ওপরের তলায়। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ণয় করা যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ