চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে মাঠে দুর্নীতি দমন কমিশন। বিগত সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপি, সরকারি চাকরিজীবী, এমনকি দুর্নীতি আড়াল করতে স্বামীর টাকায় কোটিপতি বনে যাওয়া স্ত্রীরাও দুদকের জালে। এ নিয়ে প্রিয় চট্টগ্রামের বিশেষ আয়োজন, প্রতিবেদনগুলো তৈরি করেছেন আহমেদ কুতুব  
চট্টগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০২৪ সালে ৩৪টি দুর্নীতি মামলায় ১৬৯ জন ব্যক্তিকে আসামি করেছে। এর মধ্যে ২৩টি মামলা হয়েছে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করা ৪৩ সরকারি চাকরিজীবীর বিরুদ্ধে। এ তালিকায় শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ছোট কর্মচারীও রয়েছেন, যাদের প্রত্যেকেই বনে গেছেন কোটিপতি। চট্টগ্রাম শহর ও গ্রামে তারা গড়ে তুলেছেন বাড়ি-গাড়ি, কিনেছেন জমির পর জমি। দুদকের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ৭৩ শতাংশই সরকারি চাকরিজীবী, যাদের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ ও দুর্নীতি’র মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ১৭ শতাংশ এবং ব্যাংকিং খাতে জাল-জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ১০ শতাংশের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস, পুলিশ, সার্ভেয়ার, সাব-রেজিস্ট্রার, জুট মিল কর্মচারী, রেলওয়ে, বিএডিসি, প্রগতি, হাসপাতাল, বন্ড কমিশনারেট, বন্দর ও ব্যাংকিং খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক মো.

নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, ‘দুদক দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করেছে। ২০২৪ সালে আমরা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মামলা করেছি। এর মাধ্যমে সমাজে একটি মেসেজ দিতে চেয়েছি– দুর্নীতি করলে যে কাউকেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। অনেকের অবৈধ সম্পদ জব্দও করেছি। ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি বন্ধে জোর দেওয়া হচ্ছে।’
দুদক কর্মকর্তারা জানান, সরকারি চাকরিরত অবস্থায় অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই করেন না। চাহিদামতো ঘুষ পেলে নয়কে ছয়, ছয়কে নয় করে দেন। বিনিময়ে গড়ে তোলেন অবৈধ সম্পদ। কেউ নিজের নামে, আবার কেউ স্ত্রীর নামে কৌশলে রেখে বৈধ করার চেস্টা করেন। অভিযোগ পেলে দুদক অনুসন্ধান শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মামলার অনুমতি চেয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে প্রধান কার্যালয়ে। কমিশনের অনুমোদন না পাওয়ায় মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হচ্ছে।
দুদক ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে দুদকের দুটি কার্যালয় রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরের দুর্নীতি দমনে কাজ করে চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এবং চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় দুর্নীতি দমনে কাজ করে চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২। দুটি অফিসের দুর্নীতি মামলা রেকর্ড হয় সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ। ২০২৪ সালে ১২টি সরকারি দপ্তরের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ৩৪টি দুর্নীতি মামলা হয়। তার মধ্যে ১৬৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। ৪৩ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়াও ৬৪ জন ব্যাংকার, ৩২ জন ব্যবসায়ী আসামির তালিকায় রয়েছেন। ৩৪টির মধ্যে ২৩টি অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে, সরকারি অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ছয়টি এবং ব্যাংক খাতে ঋণের নামে অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনায় পাঁচটি মামলা করা হয়েছে।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তা নিজামুল হক ও তার স্ত্রী নাসিমা আক্তারের বিরুদ্ধে ২ কোটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ১৩৮ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের খোঁজ পায় দুদক। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়। একইভাবে ব্যবসায়ী এমইইএস আবুল হোসাইনের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৯৪ লাখ ৪৭ হাজার ১২ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তার স্ত্রী ফয়জুন নেছা হোছাইনের বিরুদ্ধে ৯৯ কোটি ৪ হাজার ৪৩০ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন, সার্ভেয়ার সুনীল কান্তি দেব মহাজন ও তার স্ত্রী স্মৃতি রানীর বিরুদ্ধে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৮২১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, পুলিশ কনস্টেবল সেলিম হাওলাদারের স্ত্রী জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে ১ কোটি ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৯৪৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা হয়।
এ ছাড়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সহকারী মো. আলমগীর প্রকাশ লাতু এবং তার স্ত্রী হাসিনা বেগমের বিরুদ্ধে ৬৩ লাখ ৮২ হাজার ২৭১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ শেখ রাসেলের বিরুদ্ধে ২২ লাখ ৩৩ হাজার ৫১২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে 


মামলা হয়। কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল বারিকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯২২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, কাস্টম কর্মকর্তা ফেরদৌস ইয়াসিমিনের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৯২ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, পুলিশের এএসপি আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ২৯৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের বিরুদ্ধে ৪৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, আমিন জুট মিলের কর্মচারি আবদুল নবী লেদুর বিরুদ্ধে ৭৬ লাখ ৬৪ হাজার ২৯১ টাকা, তার স্ত্রী লাকি আক্তারের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯ লাখ ১১ হাজার ৩৮৫ টাকা এবং তার ছেলে আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা হয়।
অন্যদিকে, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস সহকারী মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী দিলুয়ারা মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে ১ কোটি সাত লাখ ২ হাজার ৭৪৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, সাবেক কাস্টম কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন হাজারীর বিরুদ্ধে ৭৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬২২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, রেলওয়ের সাবেক জিএম হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী মালা রহমানের বিরুদ্ধে ৬১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৩০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পায় দুকক। অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়।   
রেলওয়ের ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ফরিদ আহম্মেদসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা, ভুয়া রেকর্ড সৃষ্টি করে রেলওয়ের ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭২৩ টাকা সরকারের ক্ষতি সাধনের ঘটনায় ৮ রেল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা, বিএডিসি’র দুই কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার ৭৭৬ টাকার সরকারি সার আত্মসাতের ঘটনায় গুদামরক্ষক আল আমিনের বিরুদ্ধে, সরকারি গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান প্রগতি’র কর্মকর্তাদের কারসাজিতে ২৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭২০ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মামলা, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মাসাতের চেস্টার ঘটনায় কর্মচারি ফোরকানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। 
সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাইরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনায় ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন শাহের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২১ লাখ ৪৬ হাজার ২৪ টাকার মামলা, বিএনপি নেতা লিয়াকত আলীর স্ত্রী জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬ লাখ ২৬ হাজার ২৬২ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা, সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় সুপরিনটেনডেন্ট অব কাস্টমস বন্ড কমিশনারেন্ট চট্টগ্রামে মো. ইদ্রিসের বিরুদ্ধে ও তার স্ত্রী ফখরে জাহান বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা, চট্টগ্রাম বন্দরে ইনভয়েস জালিয়াতি করে সরকারের ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৯২৮ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার ঘটনায় ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা করে দুদক। এর বাইরে ন্যাশনাল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এসআলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম মাসুদের ছেলেসহ ৬০ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা দায়ের করে দুদক। 
টিআইবি-সনাক চট্টগ্রামের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘দুর্নীতির মামলায় সরকারি চাকরিজীবী আসামিদের সংখ্যা বেশি হওয়া প্রমাণ করে তারা সরাসরি দুর্নীতিতে জড়িত। সেবার পরিবর্তে ঘুষের লাগাম টানতে না পারায় সরকারি চাকরিজীবীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে সরকারি অফিসে অফিসে দুর্নীতি কমে আসবে, অন্যথায় নয়।’ 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ কর জ ব ব গম র ব র দ ধ সমন ব ত জ ল ২০২৪ স ল দ য় র কর চ কর জ ব ব যবস য় ক স টমস সরক র র লওয় রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা