ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে শিশুসহ তার মা–বাবা দগ্ধ হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে দুর্গাপুর চালাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজন দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁদের ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন মো.

জাহাঙ্গীর (৩২), তাঁর স্ত্রী বিউটি বেগম (২৮) এবং এই দম্পতির মেয়ে তোহা (৫)। জাহাঙ্গীর ওষুধ কারখানায় এবং বিউটি চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, আগুনে মো. জাহাঙ্গীরের শরীরের ৯২ শতাংশ, বিউটির ৩৩ শতাংশ ও তোহার ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

আশুলিয়ার দুর্গাপুর চালাবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন জাহাঙ্গীর আলম ও বিউটি বেগম দম্পতি। গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করে রান্না করতেন তাঁরা। আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে গ্যাসের সিলিন্ডার নিয়ে ঘরের বাইরে আসেন জাহাঙ্গীর। তাঁর শরীরে আগুন জ্বলছিল। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন এবং তাঁর শরীর ও ঘরের আগুন নিভিয়ে ফেলেন। আগুনে বিউটি বেগম ও তোহা দগ্ধ হয়। প্রতিবেশীরা তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁদের ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

প্রতিবেশী আসমা আক্তার বলেন, ‘ওদের দরজা বন্ধ ছিল। রান্না করতে গেলে গ্যাস (সিলিন্ডার) ব্লাস্ট (বিস্ফোরণ) হয়ে আগুন ধইরা গেছে। ভাই (জাহাঙ্গীর) সিলিন্ডার হাতে নিয়ে ঘরের বাইরে আসে। ভাবি ভাবি বইলা চিল্লাইছে। ঘর থিকা বাইর হইয়া দেখি, তার সারা শরীরে আগুন। পরে সবাই মিলা আগুন নিভাইছে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ