অনলাইনে চাকরির সাক্ষাৎকারের প্রলোভন দেখিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কম্পিউটারে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছেন একদল হ্যাকার। ‘বিভারটেইল’ এবং ‘ইনভিজিবলফেরেট’ নামের ম্যালওয়্যারগুলো কাজে লাগিয়ে দূর থেকে সুপরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কম্পিউটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করছেন তাঁরা।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ইসেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই সাইবার হামলা ‘কন্টেজিয়াস ইন্টারভিউ’, ‘ডিইভপপার’, ‘ফেমাস চোল্লিমা’, ‘পার্পলব্রাভো’ এবং ‘টেনাসিয়াস পুংসান’ নামের সাইবার হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মাধ্যমে মূলত ব্যবহারকারীদের ব্রাউজার ও পাসওয়ার্ড ম্যানেজার থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট এবং লগইন তথ্য চুরি করা হচ্ছে। ফ্রিল্যান্স সফটওয়্যার নির্মাতাদের লক্ষ্য করে সুপরিকল্পিতভাবে এ ধরনের সাইবার হামলা চালাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা।

জানা গেছে, হ্যাকাররা ভুয়া নিয়োগকারীর প্রোফাইল তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফ্রিল্যান্স অ্যাপ নির্মাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তাঁদের কাছে গিটহাব, গিটল্যাব বা বিটবাকেটে জমা রাখা ট্রোজান ম্যালওয়্যারযুক্ত কোড পাঠান। পরে চাকরির সাক্ষাৎকারের সময় কোডগুলো কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন গেম এবং অ্যাপ তৈরি করতে বলা হয়। কোডগুলো ব্যবহার করলেই চাকরিপ্রার্থীদের কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে তথ্য চুরি করতে থাকে।

আরও পড়ুনসাইবার হামলা থেকে স্মার্টফোন নিরাপদ রাখতে মানতে হবে এই ৫ নিয়ম০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইসেটের তথ্যমতে, বিভিন্ন ডিজিটাল মুদ্রা এবং অর্থায়ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সফটওয়্যার নির্মাতাদের লক্ষ্য করে এ ধরনের সাইবার হামলা বেশি চালানো হচ্ছে। ফিনল্যান্ড, ভারত, ইতালি, পাকিস্তান, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া, ইউক্রেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের হামলার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। তবে হ্যাকাররা ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা না করেও বড় পরিসরে আক্রমণ চালাচ্ছে। আর তাই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

সূত্র: দা হ্যাকার নিউজ

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে ‘জিরো ক্লিক’ সাইবার হামলা, যেভাবে চুরি হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু

বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”

১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”

১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ