দেশব্যাপী যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে বরিশালের বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। এতে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে যানবাহন আটকা পড়ে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল নগরের অন্তত আটটি বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা নগরের চৌমাথায় মানববন্ধন করেন। একপর্যায়ে তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাবে নগরের অভ্যন্তরেও বিভিন্ন সড়কে দেখা দেয় যানজট। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে।

এ ছাড়া সকাল ১০টার দিকে বরিশাল ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সমবেত হন।

সারা দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে, ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ, বরিশাল। আজ সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কল জ র শ ক ষ র থ বর শ ল নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ