স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়ে বরিশালের সড়কে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা
Published: 24th, February 2025 GMT
দেশব্যাপী যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে বরিশালের বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। এতে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে যানবাহন আটকা পড়ে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল নগরের অন্তত আটটি বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা নগরের চৌমাথায় মানববন্ধন করেন। একপর্যায়ে তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাবে নগরের অভ্যন্তরেও বিভিন্ন সড়কে দেখা দেয় যানজট। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে।
এ ছাড়া সকাল ১০টার দিকে বরিশাল ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সমবেত হন।
সারা দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে, ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ, বরিশাল। আজ সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কল জ র শ ক ষ র থ বর শ ল নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি