রাওয়ালপিন্ডিতে আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের বিপক্ষে বল হাতে দারুণ বোলিং করেন নিউ জিল্যান্ডের মাইকেল ব্রেসওয়েল। ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন তিনি। যা আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে নিউ জিল্যান্ডের কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার।

তার আগে স্বদেশি পল ওয়াইজম্যান ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম আসরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৫ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। গেল ২৭ বছর ধরে সেটাই ছিল আইসিসির এই ইভেন্টে নিউ জিল্যান্ডের কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। ওয়াইজম্যানের পরে ২০০৪ সালে ড্যানিয়েল ভেটরি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১৪ রানের বিনিময়ে ৩টি ও ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতান প্যাটেল মাত্র ১১ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।

তাদের সবাইকে পেছনে ফেলে ব্রেসওয়েল আজ নতুন কীর্তি গড়লেন। ব্রেসওয়েল আজ তানজিদ হাসান তামিম (২৪), তাওহীদ হৃদয় (৭), মুশফিকুর রহিম (২) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের (৪) উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন।

আরো পড়ুন:

নাথানের ২১ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে ডাকেটের ইতিহাস

দ্রুততম ১১ হাজারে দ্বিতীয় রোহিত

তার বোলিং তোপে ২ উইকেটে ৯৭ থেকে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১১৮ হয়ে যায়। ব্রেসওয়েল এভাবে তোপ না দাগালে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫০ ওভারে ২৩৬ রানের বেশি হতে পারতো।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউ জিল্যান্ডের সেরা বোলিং ফিগার:

খেলোয়াড় বোলিং ফিগার বিপক্ষ সাল
মাইকেল ব্রেসওয়েল ৪/২৬ বাংলাদেশ ২০২৫
পল ওয়াইজম্যান ৪/৪৫ জিম্বাবুয়ে ১৯৯৮
জিতান প্যাটেল ৩/১১ দ.

আফ্রিকা
২০০৬
ড্যানিয়েল ভেটরি ৩/১৪ যুক্তরাষ্ট্র ২০০৪
ড্যানিয়েল ভেটরি ৩/৪৩ পাকিস্তান ২০০৯

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড ব র সওয় ল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বজয়ের পর মার্করাম বললেন, এত দামি রান কখনো করিনি

কেশব মহারাজ কথাই বলতে পারছিলেন না ঠিকঠাক। প্রথা ভেঙে তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিলেন সাক্ষাৎকার নিতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। মহারাজের কণ্ঠ থেমে যাচ্ছিল আনন্দাশ্রুতে। ফাঁকে ফাঁকে তিনি যা বললেন, তাতে কৃতজ্ঞতা থাকল সমর্থকদের জন্য, ‘এটা বিশেষ, এখানে যাঁরা এসেছেন ও যাঁরা দেশে আছেন—তাঁদের জন্য ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে পারা সম্মানের। গত পাঁচ দিন যে একতা ছিল, এটাই আমাদের দেশ। এখানে যাঁরা এসেছেন, সবার কাছে আমরা ভীষণ কৃতজ্ঞ।’

শুধু তো আর মহারাজ নন। দক্ষিণ আফ্রিকার যাঁকেই পাওয়া গেল, যখন যিনিই কথা বললেন—সবারই কৃতজ্ঞতা দর্শকদের প্রতি। তা না হয়ে অবশ্য কারণও নেই—১৯৯৮ সালের পর এবারই প্রথম আইসিসির কোনো শিরোপা জিতেছেন তাঁরা, জিতেছেন প্রথম ‘বিশ্বকাপ’।

১৯৯৮ সালে ঢাকায় মিনি বিশ্বকাপ জয়ের পর বৈশ্বিক আসরে ১১ সেমিফাইনাল আর ১ ফাইনালে হারের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই জয়ের পথেও কম কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়নি। প্রথম ইনিংসে তারা পিছিয়ে গিয়েছিল ৭৪ রানে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতল দলটি।

শেষ দিকে ড্রেসিংরুমের অবস্থা কেমন ছিল, তার একটা ধারণা মিলবে মার্কো ইয়ানসেনের কথায়, ‘বসে বসে প্রার্থনা করছিলাম, আমরা ভাগ্যবান যে কাজটা ঠিকঠাক করতে পেরেছি। ড্রেসিংরুমে সবাই অনেক নার্ভাস ছিল। অনেকে চুপ করে বসেছিল, কিন্তু আমাদের দর্শকেরা প্রতিটি রানের জন্য চিৎকার করেছেন, এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই।’

ট্রফি হাতে উদযাপনে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুটি আলাদা উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা, বেঁচে যাওয়া দুই যাত্রী বসেছিলেন ১১এ আসনে
  • বিশ্বজয়ের পর মার্করাম বললেন, এত দামি রান কখনো করিনি