কলাগাছিয়া ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে ওসমান পরিবারের দোসররা মরিয়া
Published: 24th, February 2025 GMT
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে বেশ মরিয়া হয়ে উঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওসমান পরিবারের দোসর জামান মেম্বার ও কচি মেম্বােরের বিরুদ্ধে।
গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারী) উল্লেখিত পরিষদের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করার পর সরকারি বিধি মোতাবেক চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষনা করেন বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান গ্রেপ্তারের পর থেকে উল্লেখিত পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে ওসমান পরিবারের দোসর উক্ত পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার জামান প্রধান ও বহু অপকর্মের হোতা ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মোমেন কচি বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে।
কলাগাছিয়া ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মামুন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ফ্যাসিবাদ সরকারের শাঁসন আমলে সদ্য গ্রেপ্তারকৃত দেলোয়ার প্রধানের নির্দেশে ওসমান পরিবারের দোসর জামান মেম্বার ও কচি মেম্বার রাতের আধারে কলাগাছিয়া ইউনিয়নে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা।
এলাকাবাসী জানান, ফ্যাসিস্টের দোসর সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচিত চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের ঘনিষ্ঠ লোক ছিলেন জামান মেম্বার ও কচি মেম্বার । জামান ও কচি মেম্বার দীর্ঘ দিন ধরে জন্ম নিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদ ,সত্যায়ন পত্র প্রদানসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানের নামে অবৈধভাবে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।
এছাড়া সাবেক এমপি সেলিম ওসমান ও চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে নানা ফয়দা লুটেছেন।
কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে জানান, গত ২/৩ বছর পূর্বে কচি মেম্বার বন্দরে বালিয়াগাও এলাকায় ধর্ষনের বিচার করতে গিয়ে দোষি সাব্যস্ত হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন।
এ ছাড়াও তিনি বালিয়াগাও এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।
এ ব্যাপারে জামান মেম্বার ও কচি মেম্বারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জামান প্রধান ও কচি মেম্বারের অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ওসম ন কল গ ছ য়
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫