কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে বেশ মরিয়া হয়ে উঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে  ওসমান পরিবারের দোসর জামান মেম্বার ও কচি মেম্বােরের বিরুদ্ধে।

গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারী)   উল্লেখিত পরিষদের  চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করার পর  সরকারি বিধি মোতাবেক চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষনা করেন বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা।


এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান গ্রেপ্তারের পর থেকে উল্লেখিত পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে ওসমান পরিবারের দোসর উক্ত পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার জামান প্রধান ও বহু অপকর্মের হোতা ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মোমেন কচি   বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে।

কলাগাছিয়া ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মামুন ক্ষোভ প্রকাশ করে  জানান, ফ্যাসিবাদ সরকারের শাঁসন আমলে সদ্য গ্রেপ্তারকৃত দেলোয়ার প্রধানের নির্দেশে ওসমান পরিবারের দোসর জামান  মেম্বার ও কচি মেম্বার রাতের আধারে  কলাগাছিয়া ইউনিয়নে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা।

এলাকাবাসী জানান, ফ্যাসিস্টের দোসর সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচিত চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের ঘনিষ্ঠ  লোক ছিলেন জামান মেম্বার ও কচি মেম্বার । জামান ও কচি মেম্বার দীর্ঘ দিন ধরে জন্ম নিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদ ,সত্যায়ন পত্র প্রদানসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানের নামে অবৈধভাবে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।

এছাড়া সাবেক এমপি সেলিম ওসমান ও চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের  নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে নানা ফয়দা লুটেছেন।

কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে জানান, গত ২/৩ বছর পূর্বে কচি মেম্বার বন্দরে বালিয়াগাও এলাকায় ধর্ষনের বিচার করতে গিয়ে দোষি সাব্যস্ত হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন।

এ ছাড়াও তিনি বালিয়াগাও এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।

এ ব্যাপারে জামান মেম্বার ও কচি মেম্বারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জামান প্রধান ও কচি মেম্বারের অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ওসম ন কল গ ছ য়

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ