বিরল খনিজ সম্পদের উন্নয়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রাশিয়া: পুতিন
Published: 25th, February 2025 GMT
ইউক্রেনে স্বঘোষিত রুশ ভূখণ্ড দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, জাপোরিঝঝিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বিরল খনিজ সম্পদের উন্নয়নে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গতকাল সোমবার রাশিয়া-১ টিভির সাংবাদিক পাভেল জারুবিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, বিরল খনিজ নিয়ে চুক্তির জন্য ইউক্রেনকে মার্কিন প্রশাসন যে চাপ দিচ্ছে, সে বিষয়ে উদ্বিগ্ন নয় মস্কো। দেশটিতে মজুত বিরল খনিজ সম্পদের প্রকৃত মূল্য কত, সেটি এখনো বোঝার বাকি আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পুতিন বলেন, অর্থনীতির একাধিক ক্ষেত্রে বিরল খনিজের গুরুত্ব বিবেচনা করে মস্কো এ সম্পদের উন্নয়নে মনোনিবেশ করবে।
সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে পুতিন জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা আমাদের মার্কিন অংশীদারদের কাছে বিষয়টি নিয়ে প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত থাকব.
প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘বিরল খনিজ সম্পদসমৃদ্ধ দেশগুলোর একটির নেতা হিসেবে রাশিয়া এ সম্পদের ভূগর্ভস্থ মজুতের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। এ ক্ষেত্রে নতুন অঞ্চলগুলোও (ইউক্রেনে দখল করে নেওয়া ভূখণ্ড) অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আমাদের নতুন ঐতিহাসিক অঞ্চলগুলো, যা রুশ ফেডারেশনে ফেরত এসেছে, সেগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিরল খনিজের মজুত রয়েছে।’
২০২২ সালে গণভোটের পর দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্র এবং খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চল রুশ ফেডারেশনে যোগ দেয়।
ফোর্বসের অনুমান, ২০২৩ সালে ইউক্রেনে প্রায় ১৫ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজ সম্পদের মজুত ছিল। দেশটির মোট খনিজ সম্পদের প্রায় অর্ধেকই দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে অবস্থিত।
আরও পড়ুনখনিজ নিয়ে চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ইউক্রেন–যুক্তরাষ্ট্র১৪ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’