পিরোজপুরে আগুনে পুড়ে গেছে ৪৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
Published: 25th, February 2025 GMT
পিরোজপুরে দুটি উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ৪৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার পাঁচপাড়া বাজারে এবং আজ মঙ্গলবার ভোরে স্বরূপকাঠি উপজেলার মিয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক বেল্লাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে পিরোজপুর সদর উপজেলার পাঁচপাড়া বাজারের আগুন পিরোজপুর ও নাজিরপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় ঘণ্টাব্যপী চেষ্টা করে নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে মিয়ারহাট বাজারের আগুন ছয়টি ইউনিট প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টা করে নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার পাঁচপাড়া বাজারে আগুনের সূত্রপাত হয়। ওই বাজারের ব্যবসায়ী নিমাই মিস্ত্রি বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি তাঁর দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। কিছু সময় পরে খবর পান বাজারে আগুন লাগেছে। তাঁর দোকানসহ ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে পিরোজপুর ও নাজিরপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নেভাতে আসে। আগুনে প্রায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে আজ ভোর ছয়টার দিকে স্বরূপকাঠি উপজেলার মিয়ারহাট বাজারে আগুন লাগে। এতে ৩৪টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে।
মিয়ারহাট বাজারের ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, ‘আজ সকালে ছয়টার একটু আগে আমাদের বাজারে আগুন লাগে। আমার রঙের দোকানে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বিভিন্ন হার্ডওয়ারের মাল ছিল, সব পুড়ে গেছে। আমার মতো অনেক ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠান আগুনে শেষ হয়ে গেছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’