পিরোজপুরে দুটি উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ৪৫টি ব‌্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার পাঁচপাড়া বাজারে এবং আজ মঙ্গলবার ভোরে স্বরূপকাঠি উপজেলার মিয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক বেল্লাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে পিরোজপুর সদর উপজেলার পাঁচপাড়া বাজারের আগুন পিরোজপুর ও নাজিরপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় ঘণ্টাব‌্যপী চেষ্টা করে নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে মিয়ারহাট বাজারের আগুন ছয়টি ইউনিট প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টা করে নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ‌্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার পাঁচপাড়া বাজারে আগুনের সূত্রপাত হয়। ওই বাজারের ব‌্যবসায়ী নিমাই মিস্ত্রি বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি তাঁর দুটি ব‌্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। কিছু সময় পরে খবর পান বাজারে আগুন লাগেছে। তাঁর দোকানসহ ১১টি ব‌্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে পিরোজপুর ও নাজিরপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নেভাতে আসে। আগুনে প্রায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে আজ ভোর ছয়টার দিকে স্বরূপকাঠি উপজেলার মিয়ারহাট বাজারে আগুন লাগে। এতে ৩৪টি ব‌্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে।

মিয়ারহাট বাজারের ব‌্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, ‘আজ সকালে ছয়টার একটু আগে আমাদের বাজারে আগুন লাগে। আমার রঙের দোকানে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বিভিন্ন হার্ডওয়ারের মাল ছিল, সব পুড়ে গেছে। আমার মতো অনেক ব‌্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠান আগুনে শেষ হয়ে গেছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল র গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ