ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিও গত ডিসেম্বরে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। এখনো দিন-তারিখ ঘোষণা করা না হলেও নিজেদের মতো করে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন রোনালদোসহ সংশ্লিষ্টরা।

এরই মধ্যে অবশ্য সিবিএফের নির্বাচনী কাঠামো, প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোনালদো। শুধু এটুকুই নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের জন্য ফিফা, কনমেবল, স্টেট ফেডারেশন এবং সিরি ‘আ’ ও সিরি ‘বি’র দলগুলোকে একটি চিঠিও দিয়েছেন তিনি।

নিজের লেখা চিঠিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন রোনালদো লিখেছেন, ‘আমি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলাম যে সিবিএফের আগামী নির্বাচনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। কিন্তু আমি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও আইনি নিশ্চয়তার অভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন বোধ করছি, যা কি না নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও বৈধতার সঙ্গে আপস করতে পারে। সৎ নির্বাচনে অবদান না রাখার পাশাপাশি এই মডেল বিকল্প প্রার্থীর উত্থানকেও কঠিন (সম্ভবত অসম্ভবও) করে তুলবে।’

আরও পড়ুনপ্রেসিডেন্ট হয়ে ব্রাজিলের ফুটবলকে চূড়ায় ফেরাতে চান রোনালদো ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

রোনালদো চিঠিতে আরও যোগ করেন, ‘এটা স্পষ্ট যে বর্তমান আইনের অধীনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের হাতে পুরো প্রক্রিয়ার ওপর নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। যা আমাদের সুষ্ঠ ও সমতাভিত্তিক প্রতিযোগিতার শর্ত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।’

চিঠিতে ফিফা এবং কনমেবলকে নির্বাচন তদারকি করার অনুরোধও জানিয়েছেন রোনালদো। ‘দ্য ফেনোমেনন’খ্যাত বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা লিখেছেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অধিকতর স্বচ্ছতা ও আইনি নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে আমি অনুরোধ করছি ফিফা এবং কনমেবল যেন সরাসরি এই নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করে।’

কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রোনালদো নাজারিও.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা সেতুতে ঈদের ছুটির শেষ ৪৮ ঘণ্টায় ৭ কোটি টাকার টোল আদায়

ঈদের ছুটি শেষে গত দুই দিনে সড়কে কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ। বেড়ে যায় যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন পারাপারও। বেড়েছে টোল আদায়ও। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় ১ লাখ ৭৭৭টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫০ টাকা।

যমুনা সেতু টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৬৬টি যানবাহন রয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী ৩৩ হাজার ৩২৯টি যানবাহন পার হয়েছে। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪ হাজার ৫০ টাকা।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের দিকে ১৮ হাজার ৩৬৫টি যানবাহন পার হয়। এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী যানবাহন ছিল ৩০ হাজার ৮১৭টি। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯০০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির জানান, স্বাভাবিক সময়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন প্রতিদিন পারাপার হয়। এবার ঈদের ছুটির শুরুতে এবং শেষে যানবাহন পারাপার কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ