আগামী মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জন্য কমিশন গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

তিনি বলেছেন, “মার্চের মাঝামাঝি সময়ে সংবিধান চূড়ান্ত করে খুব দ্রুত নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেব। নির্বাচন কমিশন হল ও বিভাগগুলোর সহায়তায় ভোটার তালিকা ঠিক করবে এবং রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।”

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ‘সম্মিলিত ডাকসু আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ কথা জানান উপাচার্য।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে গুলির ঘটনার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন

বসন্ত উৎসবে মেতেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এর আগে, দুপুর সাড়ে ১২টায় ডাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘সম্মিলিত ডাকসু আন্দোলন’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। অবস্থান কর্মসূচি শেষে তারা উপাচার্য বরাবর দাবির পক্ষে সংগৃহীত ১ হাজারের অধিক স্বাক্ষর জমা দেন।

এ সময় তারা আজই ডাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি করলে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে প্রত্যেকটা বিষয়ে নতুন কাঠামো ঠিক করতে হচ্ছে। অনেকগুলো জায়গা এলোমেলো হয়ে আছে। ডাকসু নির্বাচনে বড় বাধা ছিল আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট সদস্যদের নিয়ে আপত্তি। সেটি অনেক সাধনার পর পুনর্গঠন করা হয়েছে। পুনর্গঠিত সিন্ডিকেট আজ প্রথম সভা করবে। ২৯১টা এজেন্ডা নিয়ে এ সভায় আলোচনা হবে।”

তিনি বলেন, “ডাকসু বিষয়ে তিনটি কমিটি খুব ভেবেচিন্তে গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলো খুব দ্রুতই কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। গতকাল (সোমবার) কমিটিগুলো থেকে কাজের অগ্রগতি চাওয়া হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) রাতে বা কাল (বুধবার) বিকেলের মধ্যে তারা অগ্রগতি জানাবে। তারা জানানোর পর এ অগ্রগতি আমরা শিক্ষার্থীদেরও জানিয়ে দেব।”

তিনি আরো বলেন, “ডাকসুর আচরণবিধি সংক্রান্ত প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়ে গেছে। ৪ মার্চ এ খসড়া শিক্ষার্থী এবং অংশীজনদের অনলাইনে দেখানো হবে। প্রত্যেকটি কমিটির কার্যক্রম খুব দ্রুত শেষ করে সিন্ডিকেটে ওঠানো হবে। আগামী মাসে পরপর তিনটা সিন্ডিকেট সভার আয়োজন করব। দ্বিতীয় সিন্ডিকেটে ডাকসুর সব কার্যক্রম চূড়ান্ত করার চেষ্টা করব। সিন্ডিকেটে অনুমোদন পেলে সবকিছু চূড়ান্ত হবে।”

গঠনতন্ত্র সংস্কার কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংস্কার বিষয়ের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। কালই এটি চূড়ান্ত করে শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য অনলাইনে দেওয়া হবে। তারপর চূড়ান্ত খসড়া সিন্ডিকেটে আলোচনার ভিত্তিতে অনুমোদন করা হবে।”

পরামর্শবিষয়ক কমিটির কাজের অগ্রগতি নিয়ে উপউপাচার্য ড.

সাইমা হক বিদিশা বলেন, “এ কমিটি অন্যান্য কমিটির অনেক পরে গঠন করা হয়েছে। কমিটি ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে বসেছে। এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ, ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে দ্রুতই বসা হবে। এছাড়া আগামীকালই (বুধবার) গুগল ফরম প্রস্তুত করে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ সংগ্রহ শুরু করা হবে।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ