পাকিস্তানের তিন শহরে এসএ গেমস, ঠিক হলো তারিখও
Published: 25th, February 2025 GMT
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নেপালে হয়েছিল সর্বশেষ দক্ষিণ এশিয়ান গেমস। পরের আসরটা হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানে। কিন্তু নানা কারণে পাকিস্তান গেমসটা আয়োজন করতে পারছিল না। গেমসটা যেন চলে গিয়েছিল হিমাগারে।
এসএ গেমস নামে পরিচিতি পাওয়া এই গেমস দীর্ঘ ৫ বছর পর অবশেষে পাকিস্তানেই হতে যাচ্ছে। আজ লাহোরে সদস্যদেশগুলোর এক সভায় ঠিক হয়েছে, আগামী বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে গেমসটা হবে। সেটিও লাহোর, ইসলামাবাদ ও ফয়সালাবাদে। এই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিকখ্যাত এসএ গেমসটা হবে তিন শহরে। এর আগে সর্বোচ্চ দুই শহরে হয়েছে।
আরও পড়ুনবাবার ইচ্ছা পূরণের পথে তাহসিন, লক্ষ্য আন্তর্জাতিক নর্ম২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫লাহোর থেকে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সিরাজ উদ্দিন মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জামালপুরে সমাজচ্যুতির ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন অভিযুক্ত মাতব্বররা
জামালপুর শহরে সাতটি পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘটনায় ভুল স্বীকার করে ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত মাতব্বররা। ঢাকঢোল পিটিয়ে ও মাইকিং করে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন পর রোববার রাতে বসে নতুন সালিশ বৈঠক। এতে সেই মাতব্বররা নিজেদের ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একসঙ্গে বসবাসের অঙ্গীকার করেন। পরে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়, সাতটি পরিবারের বিরুদ্ধে নেওয়া আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।
পারিবারিক বিরোধের জের ধরে জামালপুর শহরের দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়ায় গত শুক্রবার রাতে বসে সালিশ বৈঠক। এতে ঘোষণা করা হয়, ‘মরহুম আজিজুল হক, ইসমাইল হোসেন মৌলভি, মুনসুর মিয়া, মানিক, জানিক, মজিবর ও নান্নুর পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কেউ মেলামেশা, লেনদেন বা সামাজিক সম্পর্ক রাখতে পারবে না। এ নিষেধ অমান্যকারীকেও একঘরে করে দেওয়া হবে।’ পরে মাইকে এলাকাজুড়ে তা প্রচার করা হয়। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পরদিন বিকেলে ইসমাইল হোসেন, মুনসুর মিয়াসহ ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ দেন। তারা জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রভাবশালীরা সালিশ ডেকে একতরফাভাবে মুনসুর মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন। জরিমানার টাকা না দেওয়ায় সাত পরিবারকে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দিয়ে একঘরে করে রাখা হয়েছে।
এই অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। রোববার রাত ১০টার দিকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে এলাকার কয়েকশ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, উভয় পক্ষ এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অঙ্গীকার করেছে। অভিযোগকারীরা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।