গোদাগাড়ীর নৌবন্দর দ্রুত চালুর দাবি
Published: 25th, February 2025 GMT
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জে নৌবন্দর দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, গোদাগাড়ীতে বন্দর চালু করা হলে পাথর আমদানি যেমন সহজ হবে, তেমনি আমদানি খরচও অর্ধেকে নেমে আসবে।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত প্রাক্-বাজেট আলোচনায় ব্যবসায়ীরা এই দাবি জানান। আজ মঙ্গলবার রাজশাহী চেম্বার মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। সভাপতিত্ব করেন চেম্বার সভাপতি মাসুদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন চেম্বার পরিচালক রিয়াজ আহমেদ খান। সভায় গোদাগাড়ী বন্দর চালুর বিষয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো.
রাজশাহী চেম্বারের সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরটি উদ্বোধনের এক বছর পার হলেও সেটি এখনো বন্ধ রয়েছে। অথচ পণ্য পরিবহনে সব থেকে সাশ্রয় মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ। এই নৌবন্দর চালু হলে অনুমোদনপ্রাপ্ত দুটি পণ্য পাথর ও কয়লা আমদানি থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের এই দাবির জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে এটি চালু করা প্রয়োজন। যদিও এটি বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ মন্ত্রণালয় দেখবে।
স্বাগত বক্তব্যে রিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘আমাদের অনেক ব্যবসায়ী ভ্যাট ও কর নিয়ে নানা জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন। তাই করনীতি আরও সহজ ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে।’ আগামী বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য এনবিআর থেকে কিছু বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রাক্-বাজেট আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য এ কে এম বদিউল আলম, মো. আবদুর রউফ প্রমুখ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র রহম ন ব যবস য় ন বল ন
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডন বৈঠকের বিষয় ও সিদ্ধান্ত পরিষ্কার করতে হবে: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলনের আমির তথা চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠক রাজনীতিতে কিছু সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, অস্বস্তিও তৈরি করেছে। একান্ত বৈঠক রাজনীতিতে প্রশ্ন তৈরি করেছে। রাজনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এবং দলগুলোর অস্বস্তি দূর করতে একান্ত বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত জাতির সামনে উপস্থাপন করা উচিত।
গতকাল রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জ্যৈষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে চরমোনাই পীর এসব কথা বলেছেন বলে ইসলামীর আন্দোলনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।
রেজাউল করীম বলেছেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই দেশের বহুসংখ্যক রাজনৈতিক সংগঠন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অংশ নিয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে সকলকে সমান গুরুত্ব ও মর্যাদা দেওয়া নৈতিক কর্তব্য। লন্ডন বৈঠকের চরিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অবমূল্যায়নের ধারণা জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন আয়োজনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা রকম দাবি থাকা স্বত্বেও সব উপেক্ষা করে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে একটি সময়সীমা ঘোষণা করেছিলেন। এরপর একান্ত বৈঠকে সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করার যৌথ বিবৃতি রাজনীতিতে অস্বস্তি তৈরি করেছে। সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি স্বার্থেই এই অস্বস্তি দূর করা উচিৎ।
চরমোনাই পীর বলেছেন, নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কার ও ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিতের দাবি পুনর্ব্যক্ত করছে ইসলামী আন্দোলন। বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। স্বৈরতন্ত্রের উত্থান রোধে সাংবিধানিক সংস্কারে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।