টাঙ্গাইলে শিক্ষাসফরের বাসে ডাকাতির ঘটনায় মামলা, জড়িত সন্দেহে আটক ২
Published: 26th, February 2025 GMT
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শিক্ষাসফরের চারটি বাস আটকে ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সোয়াইতপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এ ঘটনায় জড়িত ডাকাতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আজ বুধবার সকালে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাঁদের এখনো গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল ভোররাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে নাটোরে শিক্ষাসফরে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের লক্ষণের বাধা এলাকায় চারটি বাস ডাকাতদের কবলে পড়ে। ভোররাত সোয়া চারটার দিকে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ডাকাত দল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মুঠোফোন, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করার পর পুলিশ এলে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, নাটোরে শিক্ষাসফর শেষে গতকাল রাতে ঘাটাইল থানায় এসে মামলা করেন সোয়াইতপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ডাকাতেরা ১০টি মুঠোফোন ও ভুক্তভোগী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা লুট করেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের সময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো.
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঘাটাইল থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন তথ্যদাতার (সোর্স) মাধ্যমে আসামি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল খান মামলাটির তদন্ত করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ডাকাতির সময় কোনো শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেনি। কারণ, চারটি বাসের মধ্যে মেয়েদের বাসে ডাকাতেরা ওঠার সুযোগ পায়নি। তার আগেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ায় ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল খান জানান, ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আজ সকালে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখনো তাঁদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড ক ত র ঘটন য় শ ক ষ সফর তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।