রমজান উপলক্ষে ওয়েস্টিন ঢাকা ও শেরাটন ঢাকার বিশেষ আয়োজন
Published: 27th, February 2025 GMT
পবিত্র রমজান মাসে দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা ও শেরাটন ঢাকা মাসব্যাপী বিশেষ রমজান বুফে ঘোষণা করেছে। এতে থাকছে ঐতিহ্যবাহী দেশীয়, ভূমধ্যসাগরীয়, আরবি ও উপমহাদেশীয় সুস্বাদু খাবারের সমারোহ।
ব্যাংক এশিয়ার সহযোগিতায় এই দুই হোটেলের বিশেষ রমজান আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছেন আন্তর্জাতিকভাবে অভিজ্ঞ শেফ রিমোন ওবাইদ, স্বপন রোজারিও, আহমেত গুলার ও সাঈত দুরসান।
দ্য ওয়েস্টিন ঢাকার সিজনাল টেস্টস-এর আকর্ষণীয় খাবারের মধ্যে থাকছে ঢাকাইয়া হাঁড়ি গোশত, অক্সটেইল স্ট্যু, প্রিমিয়াম ল্যাম্ব শ্যাংক, আরবি কাবসা এবং তুর্কি তুলুম্বা, পিস্তাচিও বাকলাভা ও লাইভ কুনাফার মতো মিষ্টি আইটেম।
অন্যদিকে, শেরাটন ঢাকার দ্য গার্ডেন কিচেনে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে পেশাওয়ারি গরুর নলি নেহারি, বিভিন্ন তুর্কি কাবাব, ল্যাম্ব ওউজি, সি ফুড পায়েলা এবং পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কাবাবসহ আরো অন্যান্য সব খাবার। শেরাটনের অন্যতম আকর্ষণীয় মিষ্টান্ন কোল্ড মিল্ক বাকলাভাও রয়েছে তালিকায়।
১১ হাজার ৯৯০ টাকায় ওয়েস্টিন ঢাকায় এবং ১২ হাজার ৯৯০ টাকায় শেরাটন ঢাকায় প্রতিদিন পাওয়া যাবে একটি জমকালো বুফে ইফতার ও ডিনার।
এছাড়া, সিজনাল টেস্টস এবং দ্য গার্ডেন কিচেনে প্রতি শুক্রবার, শনিবার এবং সরকারি ছুটির আগের রাতে এক বিশেষ বুফে সেহরি পরিবেশন করা হবে। দ্য ওয়েস্টিনে ৬ হাজার ৯৯০ টাকা এবং শেরাটন ঢাকায় ৭ হাজার ৯৯০ টাকায় পাওয়া যাবে এই সেহরি।
২০টিরও বেশি ব্যাংক থেকে নির্বাচিত কার্ডগুলোর গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারবেন একটি কিনুন একটি পান (বাই ওয়ান গেট ওয়ান) অফার। ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের নির্বাচিত কার্ডধারীদের জন্য একটি কিনুন তিনটি পান (বাই ওয়ান গেট থ্রি) অফার রয়েছে। ব্যাংক এশিয়া কার্ডধারীরা সম্পূর্ণ রমজান মাসজুড়ে ইফতার, ডিনার এবং সেহরির জন্য বিশেষ এই বাই ওয়ান গেট থ্রি অফার উপভোগ করতে পারবেন। এমনকি সিজনাল টেস্টস ও দ্য গার্ডেন কিচেনের সৌজন্যে ভাগ্যবান অতিথিরা জিততে পারেন ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স, এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার আরাবিয়ার ফিরতি বিমান টিকিট।
যারা ঘরে বসে পরিবারের সঙ্গে ইফতারের বিশেষ মুহূর্ত উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা ও শেরাটন ঢাকা নিয়ে এসেছে তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রিমিয়াম ইফতার বক্স।
দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায় ১১ হাজার ৯৯০ টাকায় প্লাটিনাম, ৮ হাজার ৯৯০ টাকায় গোল্ড এবং ৭ হাজার ৯৯০ টাকায় সিলভার বক্স। শেরাটন ঢাকায় ১২ হাজার ৯৯০ টাকায় লাক্সারি, ৯ হাজার ৪৯০ টাকায় প্রিমিয়াম এবং ৮ হাজার ৪৯০ টাকায় ক্লাসিক বুফে থাকছে।
এছাড়া, ঐতিহ্যবাহী রমজান স্পেশাল শাহী হালিম ও জিলাপি উভয় হোটেল থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
যারা বৃহৎ পরিসরে ইফতার, ডিনার বা সেহরি আয়োজন করতে চান। তাদের জন্য দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা ও শেরাটন ঢাকা নিয়ে এসেছে অত্যাধুনিক ব্যাঙ্কোয়েট ভেন্যু।
ঢাকা/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ও শ র টন ঢ ক র জন য ইফত র রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হিন্দু নেতাদের সাক্ষাৎ
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁরা এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।
আজ সোমবার বিকেলে হিন্দু নেতারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যান। এ সময় তাঁদের কাছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি তাঁদের বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে সব সময় দেখা করার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ হয় না। পূজা উপলক্ষে বছরে একবার সামনাসামনি দেখা হয়, কথা বলার সুযোগ হয়।’
হিন্দুধর্মীয় নেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর এক হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ বেড়েছে। সারা দেশে পূজামণ্ডপ তৈরির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।
নেতারা বলেন, ধর্ম উপদেষ্টা নিয়মিতভাবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, মন্দির পরিদর্শন করেন। দুর্গাপূজা উৎসবমুখর করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে। গতবারের মতো এবারও নির্বিঘ্নে পূজা উদ্যাপন হবে বলে তাঁরা আশা করছি।
এ সময় স্থায়ী দুর্গামন্দিরের জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান মহানগর পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এ জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর রেখেছেন। গত বছরের মতো এ বছরও পূজায় আমরা দুই দিন ছুটি পেয়েছি। এ জন্যও আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। গত বছর ৮ আগস্ট দেশে ফেরার পরপরই আপনি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করে বলেছিলেন, আমরা সবাই এক পরিবার। আপনার বক্তব্য আমাদের মনে গভীরভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, ‘গত বছর দুর্গাপূজায় ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে আপনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে কড়া পাহারা বসিয়ে পূজা হবে এমন দেশ আমরা চাই না। আমরা প্রথমবারের মতো কোনো সরকারপ্রধানের কাছে এমন বক্তব্য শুনেছি। আমরাও আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত, আমরাও চাই এ আয়োজনে সবাই সহযোগিতা করুক, দেশের সবার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকুক।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দে বলেন, ‘আপনি দায়িত্বে থাকাকালীন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির স্থাপন করেছেন। আমরা লক্ষ করেছি, এক বছর ধরে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর মিথ্যা কথা, ফেক নিউজ ছড়ানো হচ্ছে। আপনার নেতৃত্বে ধর্ম–বর্ণ–জাতিনির্বিশেষে বাংলাদেশের সব মানুষের কল্যাণ হবে, আমরা সেটাই কামনা করি।’
বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে। কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা কল্যাণকর কর্মসূচিগুলো নিশ্চিত করি।’ এ সময় তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও পূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান এবং দুর্গাপূজা ঘিরে যাতে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের সুযোগ তৈরি না হয়, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার ও সচিব দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণানন্দ (একক), বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজসংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, শ্রীশ্রী গীতা হরি সংঘ দেব মন্দিরের সভাপতি বিমান বিহারী তালুকদার, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাস, শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত ও সিদ্ধেশ্বরী সর্বজনীন পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণীতা সরকার উপস্থিত ছিলেন।