নৌপরিবহন ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘সেনাপ্রধান আমার জন্য অনেক উঁচু স্তরের লোক। তিনি একটি বাহিনী চালাচ্ছেন। তিনি কোনো কথা না বুঝে বলেননি। এর ইন্টারপ্রিটেশন (ব্যাখ্যা) কী, আপনারা জানেন।’

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শ্রম উপদেষ্টা এ কথাগুলো বলেন। বেক্সিমকোর শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধের ঘোষণা দেওয়ার বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দেশ ও জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার বিষয়ে গত মঙ্গলবার সবাইকে সতর্ক করে বক্তব্য দেন। রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস, ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান যে বক্তব্য দেন, তা নিয়ে আজ শ্রম উপদেষ্টার বক্তব্য জানতে চান সাংবাদিকেরা।

জবাবে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি যতটুকু চিনি, তিনি ভেরি স্ট্রেট ফরওয়ার্ড ম্যান (সোজাসাপ্টা কথা বলার লোক)। ভেরি ভেরি স্ট্রেট ফরওয়ার্ড ম্যান (অত্যন্ত সোজাসাপ্টা কথা বলার লোক)। যা বলার মানুষের মুখের ওপর বলেন, বলার মতো লোক। সো আই হ্যাভ লট অব রেসপেক্ট ফর হিম (সুতরাং তাঁর প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা)। উনি কী বলেছেন না বলেছেন, সেটার ব্যাখ্যা আমি দিতে পারব না। তা উনিই দিতে পারবেন।’

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁর মঙ্গলবারের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের নাম ধরে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এটা আপনারা তাঁকে (সেনাপ্রধান) জিজ্ঞাসা করবেন।’

নিজেদের মধ্যে কাদা–ছোড়াছুড়ি, মারামারি, কাটাকাটি করলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে বলে সবাইকে সতর্ক করেছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বল ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ