কুমিল্লায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তি
Published: 28th, February 2025 GMT
বকেয়া বেতনের দাবিতে কুমিল্লার চান্দিনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে অন্তত ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার পশ্চিম বেলাশহর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন একদল শ্রমিক। তাঁরা সবাই বেলাশহর এলাকায় অবস্থিত ‘ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট’ নামে একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত। বেলা ১১টার পর স্থানীয় প্রশাসন এবং উপজেলা বিএনপির নেতা–কর্মীদের হস্তক্ষেপে অবরোধ প্রত্যাহার করে মহাসড়ক থেকে সরে যান আন্দোলনকারী।
শ্রমিকেরা সরে গেলে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। তবে অবরোধের কারণে যানজট লেগে যাওয়ায় বেলা দুইটা পর্যন্ত ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করে। বেলা দুইটার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগেও বিভিন্ন সময় ডেনিম প্রসেসিং প্লান্টের শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। কারখানার একাধিক শ্রমিক জানান, দুই মাস ধরে তাঁদের বেতন দিচ্ছে না মালিক পক্ষ। এ মাসে তাঁদের মাত্র ছয় হাজার টাকা করে বেতনের অংশ দেওয়া হয়। এতে তাঁদের ঘর ভাড়া দেওয়া দূরের কথা, খাবারের টাকাও হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে তাঁরা মহাসড়কে নেমেছেন।
এদিকে শ্রমিকদের অবরোধের কারণে সৃষ্ট যানজট নিরসনে পুলিশের পাশাপাশি কাজ শুরু করেন বিএনপি নেতা–কর্মীরা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে চান্দিনা উপজেলা বিএনপির সম্মেলন রয়েছে। মহাসড়ক হয়ে সভাস্থলে আসা নির্বিঘ্ন করতে নেতা–কর্মীরা যানজট নিরসনে পুলিশকে সহায়তা করেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক মো.
এ বিষয়ে ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট নামের পোশাক কারখানার কেউই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী একটি পরিবহনের বাসচালক কবির হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছরই কয়েকবার এভাবে ওই প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে। আজকেও একই ঘটনা ঘটেছে। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায় করা হচ্ছে। আজকেও কয়েক ঘণ্টা দুর্ভোগে ছিলাম। আমরা এমন সমস্যার সমাধান চাই।’
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে যানজট নিরসনের চেষ্টা করা হয়। পরে শ্রমিকদের কথা শুনে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বেতনভাতা পরিশোধের আশ্বাস দিলে তাঁরা মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়ান। সোয়া এক ঘণ্টার বেশি অবরোধের কারণে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। দুপুর পরে যানচলাচল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি