পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতিতে সব পদে বিএনপি-সমর্থিতদের জয়, জামায়াতের বর্জন
Published: 28th, February 2025 GMT
পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতিসহ সব কটি পদে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। সভাপতি পদে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী মো. শরীফ সালাহউদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ হয়। পরে ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী মো.
আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি পদে ২২১ ভোট পেয়ে হুমায়ুন কবির নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জামায়াতের আমির মো. নাজমুল আহসান পেয়েছেন ১৩৭ ভোট। সহসভাপতি পদে ২৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত মিজানুর রহমান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মজিবুর রহমান পেয়েছেন ১২৮ ভোট। সহসাধারণ সম্পাদক পদে ১৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি–সমর্থিত হুমায়ন কবির। একই পদে বিএনপি-সমর্থিত আশিকুর রহমান ১৬২ পেলে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এ দুই প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসাইন পেয়েছেন ১৩২ ভোট। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ২৬৩ ভোট পেয়ে বিএনপি-সমর্থিত আরিফুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত-সমর্থিত মো. আবু সাইদ খান পেয়েছেন ১০৩ ভোট। এ ছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি-সমর্থিত মজিবুল হক বিশ্বাস লাইব্রেরি সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে জামায়াত–সমর্থিত এবং সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে না দেওয়া এবং বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিতে প্রভাবিত করার অভিযোগে ফলাফল বর্জন করেছেন জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থীরা। গতকাল রাতে জেলা জামায়াতের আমির আইনজীবী মো. নাজমুল আহসান সংবাদ সম্মেলন করে ভোটের ফলাফল বর্জনের ঘোষণা দেন।
প্রসঙ্গত, জেলা আইনজীবী নির্বাচনকে ঘিরে হামলা, মামলা এবং উচ্চ আদালতের মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত এবং স্থগিতাদেশ বাতিলের ঘটনাও ঘটে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কোনো প্রার্থী অংশ নেননি বলে জানা গেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত সমর থ ত প সমর থ ত প র র থ র রহম ন আইনজ ব হয় ছ ন ব এনপ ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল