ট্রাম্প-জেলেনস্কির বাগ্‌বিতণ্ডার পর কী বললেন স্টারমার ও আলবানিজ

ওকে: নকিব

সেকশন: বিশ্ব:

ট্যাগ:

সোশ্যাল ও একসার্প্ট:

মেটা:

ছবি:

ক্যাপশন:

ইউক্রেনের প্রতি ‘নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন’ দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজও যত দিন প্রয়োজন ‘ইউক্রেনের পাশে থাকার’ কথা বলেছেন।

হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাগ্‌বিতণ্ডার পর বিশ্বনেতারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। কেউ ট্রাম্পের প্রতি তাঁদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন, কেউ ইউক্রেনকে সমর্থন জানানো অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন। ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের পর গতকাল শুক্রবার স্টারমার উভয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন।

এ নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিট কার্যালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার রাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রতি নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইউক্রেনের জন্য সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ভিত্তিতে একটি স্থায়ী শান্তির পথে অগ্রসর হওয়ার উপায় খুঁজে পেতে তাঁর পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব, তার সবই তিনি করছেন।’

এদিকে ট্রাম্প-জেলেনস্কি উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পর আজ শনিবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ বলেছেন, ‘ইউক্রেনের জনগণ শুধু নিজেদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করছেন না, তাঁরা আন্তর্জাতিক আইনের রক্ষার জন্যও লড়াই করছেন।’

সিডনিতে সাংবাদিকদের সামনে আলবানিজ আরও বলেন, ‘যত দিন প্রয়োজন পড়বে, তত দিন আমরা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াব। কারণ, এটা একটি গণতান্ত্রিক দেশ বনাম ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে কর্তৃত্ববাদী দেশের লড়াই। স্পষ্টতই তাঁর উদ্দেশ্য কেবল ইউক্রেন নয়, সমগ্র অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার।’

কয়েক বছর ধরেই মস্কো ও ক্যানবেরার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া যখন ইউক্রেনে আক্রমণ করে, তখন এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ইউক্রেনকে ৯৩ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের যুদ্ধসহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বৈঠকে তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার চুক্তি সইয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

বৈঠকে ট্রাম্পের চিৎকার-চেঁচামেচির পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের প্রস্তাব জেলেনস্কিরট্রাম্প ‘বদমাশ’ জেলেনস্কিকে সংযম দেখিয়েছেন: রাশিয়া.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন র প আলব ন জ বল ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ