Prothomalo:
2025-07-31@07:25:10 GMT

রোজার আগে বাজারে এল তরমুজ

Published: 1st, March 2025 GMT

আগামীকাল শুরু হতে পারে পবিত্র রমজান মাস। রমজানের সময় ইফতারের জনপ্রিয় রসালো ফল তরমুজ। অনেকেই রোজা ভাঙেন তরমুজের শরবত দিয়ে। অনেকে ইফতারে খাদ্যতালিকায় তরমুজের মতো ফল রাখতে চান। এদিকে ধীরে ধীরে শীতের আমেজ শেষে গরম পড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে রমজানের প্রাক্কালে তরমুজের দেখা মিলছে। তরমুজ বেচাকেনায় হাঁকডাক বাড়ছে।

এক সপ্তাহ ধরে বাজারে পুরোদমে নতুন তরমুজ আসতে শুরু করেছে। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা দরে। তবে খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এখনো তরমুজের বাজার জমে ওঠেনি। রোজা শুরু হলে বাজার জমবে, এমন আশা তাঁদের।

আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও, তালতলা, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল মার্কেট ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, তরমুজের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় অপেক্ষাকৃত বেশি। দরদাম করে কেউ তরমুজ কিনে ফিরছেন, আবার অনেক দাম শুনে চলে যাচ্ছেন।

সাধারণত ডিসেম্বর মাসে তরমুজের আবাদ শুরু হয়। এপ্রিল-মে মাসজুড়ে থাকে তরমুজের ভরা মৌসুম। তবে ফেব্রুয়ারির শেষে বা মার্চের শুরুতে বাজারে কিছু আগাম (আগে আবাদ করা) তরমুজ আসে। বর্তমানে বাজারে এ ধরনের আগাম তরমুজই বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, এখন তরমুজের সরবরাহ মোটামুটি রয়েছে; সামনে আরও বাড়বে। বর্তমানে বাজারে যে তরমুজগুলো দেখা যাচ্ছে, তা আকারে ছোট বা মাঝারি। ওজনে এগুলো তিন থেকে পাঁচ কেজির আশপাশে। বড় তরমুজ খুবই কম দেখা যায়।

বর্তমানে বরিশাল অঞ্চল, বিশেষ করে পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও ঝালকাঠিতে উৎপাদিত তরমুজ বাজারে বেশি আসছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্বল্প কিছু তরমুজও পাওয়া যায়। আর খুলনা অঞ্চলের তরমুজের এখনো বাজারে আসতে শুরু করেনি। মৌসুম পুরোপুরি শুরু হলে সব এলাকার তরমুজ বাজারে পাওয়া যাবে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে আজ প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। সে হিসাবে মাঝারি আকারের পাঁচ কেজির একটি তরমুজের দাম পড়বে ৩০০-৩৫০ টাকা। অবশ্য কারওয়ান বাজারে কিছুটা কমে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। এই বাজারে এক কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের তরমুজ বিক্রেতা আরশাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত বছর প্রথম রমজানের আগে প্রতি কেজি তরমুজ ৮০ টাকায় বিক্রি করেছি। এ বছর বিক্রি করছি ৫০-৫৫ টাকায়। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় কেজিতে ২৫-৩০ টাকা দাম কম রয়েছে।

কয়েক দিনের মধ্যে এ দাম আরও কমবে বলে জানান আরেক বিক্রেতা আবু সাঈদ। তিনি বলেন, এখন তরমুজের চাহিদা বেশি। ভরা মৌসুম শুরু হলে দাম কমে ৪০-৪৫ টাকায় নেমে আসবে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আজ সকালে তরমুজ কিনতে যান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী জয়নাল আবেদীন। দোকানে এক কেজি তরমুজের দাম চাওয়া হয় ৭০ টাকা। পরে দরাদরি করে সেটি ৬৫ টাকা দরে কেনেন তিনি। জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ভেবেছিলাম, দাম আরও কিছুটা কম হবে। যেহেতু রোজা শুরু হয়ে গেছে, তাই প্রথম ইফতারের জন্য আগ্রহ করেই কিনেছি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তরম জ ব ক র তরম জ র দ ন তরম জ রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলি অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ