বিকেল নাগাদ তামিম ইকবালসহ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ১২টি ক্লাবের অধিনায়কদের পদচারণায় মুখরিত হোম অব ক্রিকেট খ্যাত শের-ই-বাংলা। এমন আয়োজন ছিল না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল)।

শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে ঢাকা লিগের ট্রফি উন্মোচনের আয়োজন করে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপোলিস। বিকাল ৪টার দিকে মাঠে হাজির ১২ দলের ১২ অধিনায়ক। সবার পরনে ক্লাবের জার্সি। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক তামিম মেতেছিলেন খুনসুটিতে। সবার উপস্থিতিতে হয় ট্রফি উন্মোচন।

তবে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতেই তামিম হয়ে যান সিরিয়াস। ক্রিকেটার পাওনা নিয়ে সরব এই তারকা ক্রিকেটার। ৩ মার্চ থেকে মাঠে গড়াবে এবারের আসর। তার একদিন আগে যেন কড়া বার্তা দিয়ে দিলেন তামিম। স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন তার প্রধান প্রায়োরিটি ক্রিকেটারদের পাওনা।

আরো পড়ুন:

প্রিমিয়ার লিগে মোস্তাফিজের অনাগ্রহ কেন? 

ম্যানসিটিতে ‘নতুন মেসি’ নিয়ে আসলেন গার্দিওলা 

“খেলা ভালো হোক, আম্পায়ারিং ভালো হোক-এগুলো সব ঠিক আছে। প্লেয়ার্স পেমেন্টটা যেন সব ক্লাব নিশ্চিত করে-যে প্রত্যেকটা প্লেয়ার পেমেন্ট পাচ্ছে।এটা আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আমরা জানি আমাদের দেশের পরিস্থিতিটা একটু ভিন্ন।”

পাওনা নিয়ে কোয়াবের সঙ্গে গতকাল শুক্রবার বৈঠক করেন ক্রিকেটাররা। প্রতিবারই পাওনা না দেওয়া নিয়ে একটা ইস্যু থাকে। ঠিকঠাকভাবে শুরু হলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেটারদের সরব হতে দেখা যায়। তবে এবার আগে থেকেই সতর্ক ক্রিকেটাররা।

আজ ট্রফি উন্মোচন ছাড়াও আম্পায়ারদের ব্রিফ করে আম্পায়ার্স কমিটি। কারণ এই লিগে আম্পায়ারদের মান নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠে। তামিমের কাছেও ঢাকা লিগের আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন ছুটে যায়। এই উত্তর দিতে গিয়েও মোহামেডান অধিনায়ক টেনেছেন পাওনার কথা।

“আম্পায়ারিং নিয়ে যে সব অভিযোগ থাকে সেগুলো বোর্ড টেককেয়ার করুক, ভালোভাবে আমরা টুর্নামেন্টটা শেষ করি। আবারও বললাম আমার মেইন প্রায়োরিটি প্লেয়াররা যেন পুরো পেমেন্ট পায়।”

সবশেষ বিপিএলে ক্রিকেটারদের পাওনা নিয়ে ভুগতে হয়েছে। তামিমের এটা অজানা নয়। আর ঢাকা লিগে বকেয়া যেন অলিখিত নিয়ম।

তামিম বলেন, “বিপিএল বলেন, ডিপিএল বলেন ক্রিকেটাররা আর্থিকভাবে অনেক ভুগেছে। আমি আশা করব ক্লাবগুলো যে কমিটমেন্ট করেছে, এই ক্লাবগুলোর প্রত্যেকটা টাকা যেন প্রত্যেকটা খেলোয়াড় পায়- এটাই আমার জন্য মূল প্রায়োরিটি। দেন অবশ্যই ক্রিকেটটা ভালো হোক।”

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রায় সব ক্লাবই চুক্তি অনুযায়ী টাকা কাটছাঁটের বার্তা দেয়। দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রায় সকলেই মেনে নিয়েছেন।তবে ব্যতিক্রম ছিলেন আফিফ হোসেন। আবাহনীর সঙ্গে চুক্তির পরও তিনি পরবর্তীতে যান লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে। একই কারণে লিটন দাস কোন ক্লাবে খেলবেন এখন পর্যন্ত অজানা।

ঢাকা/রিয়াদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম প য় র

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডে চার নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার জৈনপুরী আশরাফিয়া টেক্সটাইল কারখানায় (মঞ্জু টেক্সটাইল) এ ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মে দিবসের কারণে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। এ জন্য লাইনে গ্যাসের উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়ে মিটারে বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে আগুন ধরে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

এ ঘটনায় দগ্ধ আবদুল হান্নান (৫০), কবির হোসেন (৪৫) ও সাইফুল ইসলামকে (২৫) রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ অন্যজনের নাম জানা যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতালের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের শরীরের ৩৪ থেকে ৫৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতের ডিউটি (দায়িত্ব) শেষে সকাল আটটার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস কক্ষে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। তখনই চারজন দগ্ধ হন। পরে কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ দাবি করে কারখানার মালিক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর আপাতত কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের সব চিকিৎসার ব্যয় কারখানা থেকে বহন করা হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ