শাকুর মজিদের প্রামাণ্যচিত্রে ‘ইসলামের স্থাপত্যধারা’
Published: 1st, March 2025 GMT
আাগামীকাল পহেলা রমজান থেকে বৈশাখী টিভিতে শুরু হচ্ছে স্থপতি, লেখক, নির্মাতা ও পর্যটক শাকুর মজিদের ৩০ পর্বের প্রামাণ্যচিত্র ইসলামের স্থাপত্যধারা। এটি প্রচার হবে প্রতিদিন ইফতারের পর ।
বিগত ১৪০০ বছর ধরে ইসলামের বিকাশের সাথে সাথে বিশ্বব্যাপী ইসলামী স্থাপত্যধারার যে বিকাশ ও বিবর্তন ঘটেছিল- উমাইদ, আব্বাসী, ফাতেমীয়, মামলুক, আইয়ুবীয়, সুলতানী, তুঘলকী, মুঘল আমল থেকে শুরু করে বর্তমান আমলের নির্বাচিত স্থাপনাগুলোই স্থান পেয়েছে এ ধারাবাহিক প্রামাণ্যচিত্রে।
এ প্রামাণ্যচিত্রের পর্বগুলো সাজানো হয়েছে যেভাবে তাহলো- ইসলামি স্থাপত্যের সূচনাকাল-উমাইয়া আমল, ওমর ইবনে আল-আস মসজিদ দিয়ে মিশরে ইসলামি স্থাপত্যের সূচনা, কুব্বাত আস সাখরা: প্রথম গম্বুজের ব্যবহার, উকবা মসজিদ: তিউনিশিয়ায় ইসলামি স্থাপনার সূত্রপাত, করদোবায় মুরিশ স্থাপত্যকৌশলের সূচনা, ৮ম শতাব্দীতে শুরু হয় আব্বাসী রীতির বিশালাকার স্থাপত্য, আব্বাসী রীতির ইবনে তুলন মসজিদ, বাগদাদকেন্দ্রিক আব্বাসী আমলের স্থাপত্য, ১০ম শতাব্দীতে মিশরে শুরু হয় ফাতিমী ধারার স্থাপত্যকৌশল, ১২শ শতাব্দীতে মিশরে শুরু হওয়া আইয়ূবী ধারার দুর্গকেন্দ্রিক স্থাপত্য, ১৪শ শতাব্দীতে স্পেনে গড়ে ওঠে মুরিশধারার প্রাসাদ, ১৪শ শতাব্দী থেকে তুর্কিতে বিকাশ লাভ করে ওসমানী রীতির স্থাপত্য, হাজিয়া সোফিয়ার রূপান্তরের মাধ্যমে সৃষ্টি হলো মসজিদের নতুন ধারা, মামলুক আমল: ইসলামী স্থাপত্যকলার বসন্তকাল, মিশরে যেভাবে ওসমানী রীতির স্থাপত্যকৌশল বিকশিত হল, নিও-বারোক রীতির ওরতাগো মসজিদ, চীনের সিনো-ইসলামিক ধারার স্থাপত্য, মালয়েশিয়ার ইন্দো-মালে রীতির স্থাপত্য, মালয়েশিয়ার আধুনিক মসজিদ, বাংলার মসজিদ স্থাপত্যের সূচনাকাল, মধ্যযুগের প্রাক-সুলতানী আমলের বাংলার স্থাপত্য, সুলতানী আমলে বাংলার মসজিদ, বাংলার প্রাক-মুঘল স্থাপত্য, মুঘল আমলের মসজিদের বিস্তার, বাংলায় মুঘলরীতির স্থাপত্য, বাংলায় মিশ্ররীতির চিনি টিকরির মসজিদ, বাংলায় বৃটিশরীতির মসজিদ স্থাপত্য, বায়তুল মোকাররম, কাবাঘরের স্থাপত্যরীতির প্রতিরূপ, মুরিশরীতির আধুনিক মসজিদ, সর্বশেষ পুত্রা মসজিদ। যেখানে সকল রীতির স্থাপত্যরূপের মিশ্রণ রয়েছে- সেসবই উঠে এসেছে এ প্রামাণ্যচিত্রে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রমজ ন শত ব দ ত র মসজ দ আমল র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল