মা, শিশু ও প্রসূতিসেবায় সাফল্য দেখিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০১২ ও ১৩ সালে বিভাগীয় পর্যায়ে এবং ২০১৪ সালে জাতীয় পুরস্কার ও সনদ পায়। সেই প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্যসেবা এখন বেহাল। চিকিৎসকসহ জনবল সংকটের কারণে উপজেলায় সরকারিভাবে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া একমাত্র প্রতিষ্ঠানটিতে চিকিৎসা নিতে এসে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
উপজেলায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প ও ইপিজেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শত শত বিদেশি নাগরিক কর্মরত। প্রায়ই তাদের অনেকে চিকিৎসাসেবা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। কিন্তু চিকিৎসক সংকটের কারণে তাদেরও সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিলে তাদের কিছু করার নেই।
জরুরি চিকিৎসা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন রোগী ফাতেমা খাতুন। তিনি জানান, দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। বাধ্য হয়ে অন্যত্র চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এক রোগীর স্বজন রাইদুল ইসলামের ভাষ্য, রোগীর প্রয়োজনে নার্সদের ডেকে পাওয়া যায় না। তাদের আচরণও ভালো নয়। রোগীদের দেওয়া খাবার নিম্নমানের।
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিসিন, গাইনি, কার্ডিওলজি, নাক-কান-গলার কনসালট্যান্টসহ ১১ পদের বিপরীতে দু’জন কনসালট্যান্ট আছেন। চিকিৎসা কর্মকর্তার ১৫ পদের স্থলে আছেন মাত্র আটজন। ২৮ পদের মধ্যে বর্তমানে ১২ জন চিকিৎসক রয়েছেন। নার্স ২৬ জন থাকার কথা থাকলেও আছেন ২২ জন। তাদের বিরুদ্ধেও রোগীর স্বাস্থ্যসেবা দিতে ও দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীও নেই। এতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যাচ্ছে না। বহির্বিভাগে দিনে অন্তত ৫০০ রোগী সেবা নেন। ভর্তি থাকছেন ৬০ থেকে ৭০ জন। তাদের সেবা দিচ্ছেন মাত্র ১২ জন চিকিৎসক। চাপ সামলাতে নার্স ও স্বাস্থ্য সহকারীদেরও হিমশিম খেতে হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ নাজনীন আফরোজ এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, জনবল সংকটে আমরাও সমস্যায় আছি। রূপপুর প্রকল্প, ইপিজেডসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার কারণে প্রচুর রোগীর চাপ থাকে। তাদের চিকিৎসাসেবা দিতে স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসকের প্রতিদিন নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কাগজে ৫০ শয্যার হলেও ২৭ শয্যার জনবল দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম। রোগী এলেই পাঠানো হয় (রেফার) পাবনা, রাজশাহী বা ঢাকায়। এসব সংকটের পাশাপাশি পুকুরের টেন্ডার, মসজিদের কমিটি, অ্যাম্বুলেন্সের গ্যারেজসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্সচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স দরকার হলে আমাদের ডাক পড়ে। কিন্তু আমাদের হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে। এখন ডাকলেও আমাদের রোগী পর্যন্ত যেতে দেরি হয়। এতে ভোগান্তি বেড়েছে। আর মসজিদের মুসল্লি শহীদুল ইসলামের ভাষ্য, মসজিদের কমিটি কর্তৃপক্ষ তাদের পছন্দমতো ব্যক্তি নিয়ে করেছেন।
বরাদ্দের খাবারসহ কেনাকাটা ও সেবার মান নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে রোগী ও স্বজনদের। অভিযোগ উঠেছে, পুকুরের টেন্ডার ও মসজিদে মুসল্লিদের মতামত উপেক্ষা করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ধরনের নানান সংকটে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। এসব বিষয়ে কথা বলতে চাইলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ভাষ্য, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সব জানেন। আর আরএমও দায় চাপান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ওপর।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলী এহসান বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বাইরের অ্যাম্বুলেন্সের গ্যারেজ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারেন তারা। মসজিদের কমিটিতে অভ্যন্তরে বসবাসকারীদের ছাড়া বাইরের কাউকে রাখা হয়নি।’ অন্যান্য বিষয়ে আরএমওর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। 
আরএমও মো.

সাহেদুল ইসলাম শিশির বিভিন্ন সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার।’ এ সময় তিনি ফোনে সব কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে সামনাসামনি কথা বলার পরামর্শ দেন।
রোগীর চাপ যে হারে বাড়ছে, তাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যার না করা গেলে সমস্যা আরও বাড়বে বলে মনে করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ। তিনি বলেন, বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক, কনসালট্যান্ট, নার্স, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর যেসব পদ শূন্য রয়েছে, সেগুলো পূরণ করা দরকার। এতে সেবার মান বাড়বে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব স থ য কমপ ল ক স স ব স থ য কর মকর ত র স ব স থ য কমপ ল ক স মসজ দ র চ ক ৎসক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নগরের হাসপাতালটিতে রোগীরা কেন থাকতে চান না

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের শয্যাসংখ্যা ৫২। তবে গত সোমবার হাসপাতালের এই ওয়ার্ডে সাতটি শয্যা খালি দেখা গেছে। একই চিত্র সার্জারি ওয়ার্ডেরও। নগরের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেখানে রোগীর চাপ থাকে শয্যার দেড় গুণ, সেখানে জেনারেল হাসপাতালে এই সংখ্যা অর্ধেক। বছরে সাড়ে তিন লাখের মতো রোগী এখানে সেবা নিলেও তাঁদের মাত্র আড়াই শতাংশ ভর্তি হন এখানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত চার বছরের গড় হিসাব অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ২৩ থেকে ২৫ জন নতুন রোগী ভর্তি হন। প্রতি মাসে শয্যা অনুপাতে আবাসিক রোগী ভর্তি গড়ে ৪৭ শতাংশ; অর্থাৎ মোট শয্যার অর্ধেকের বেশি ফাঁকা থাকে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে এই হার আরও কম; ৩৭ শতাংশ।

রোগীদের সঙ্গে কথা বলে এই হাসপাতালে ভর্তি না হওয়ার কারণ জানা গেছে। সেগুলো হলো হাসপাতালের অবস্থান, নিরাপত্তাঝুঁকি, রাতের বেলায় ওষুধ না পাওয়া এবং পর্যাপ্ত যাতায়াতব্যবস্থা না থাকা। হাসপাতালটিতে জনবলেরও ঘাটতিও রয়েছে। ফলে যেকোনো সময় নার্সদের পাওয়া যায় না। এ ছাড়া ভবনগুলোর বিভিন্ন অংশ জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। ফলে রোগীরা এখানে থাকতে চান না।

ভবন সংস্কারের বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগের আওতায়। এ বিষয়ে তাদের বলা হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য ৩০ জন আনসারের কথা বলা হয়েছে। এটির প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। শয্যা বাড়ানোর আগে জনবল বাড়ানো প্রয়োজন। মোহাম্মদ একরাম হোসেন, ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

চট্টগ্রাম নগরে সরকারি দুই হাসপাতালের মধ্যে একটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অন্যটি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ২ হাজার ২০০ হলেও প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রোগী থাকেন। অন্যদিকে জেনারেল হাসপাতালে ২৫০ শয্যার বিপরীতে ১২০ থেকে ১৪০ জন রোগী থাকেন।

রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যাঁরা চিকিৎসা নেন, তার অধিকাংশই আশপাশের এলাকার। দূরের রোগীরা এখানে আসতে চান না। কারণ, পাহাড়ের ওপর হাসপাতালটির অবস্থান। এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। রাতে পাহাড়ের পথ ধরে মাদকসেবীরা হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের পাশে অবস্থান করে। ছিনতাই ও নিরাপত্তাঝুঁকির কারণেই রোগীরা অন্যত্র চলে যান।

চিকিৎসকেরা জানান, হাসপাতালটিতে করোনা রোগীদের জন্য ২৫টি শয্যা সংরক্ষিত আছে। এসব শয্যায় অন্য কোনো রোগী ভর্তি করা হয় না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের মূল ভবন দুটির বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে গেছে। ফাটল ধরেছে কিছু স্থানে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন গুটিকয় নার্স। প্রসূতি বিভাগে নার্সের উপস্থিতি বেশি। সার্জারি বিভাগের পুরুষ ব্লকের অন্তত ৫টি বেড খালি। শিশু ওয়ার্ডের অবস্থাও একই। রোগী বেশি মেডিসিন বিভাগে।

হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জামেরও সংকট রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমআরআই মেশিন বর্তমানে নষ্ট। ইকোকার্ডিওগ্রাফি মেশিনও প্রায়ই অচল থাকে। এ ছাড়া নিয়মিত বিভিন্ন পরীক্ষার জন্যও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা। তবে এসবের মধ্য দিয়েই চলছে রোগীর সেবা। মূলত বাজেট বরাদ্দ না থাকায় যন্ত্রপাতি কেনায় অর্থ ব্যয় সম্ভব হচ্ছে না।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের অবস্থান নগরের আন্দরকিল্লা এলাকার রংমহল পাহাড়ের ওপর। এর পেছনের দিকে কাটা পাহাড় লেন। আগে এ সড়ক দিয়েই হাসপাতালে ঢুকতে হতো। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সন্ধ্যা হলেই বন্ধ এ পাহাড়ি পথ ধরে বহিরাগত লোকজন হাসপাতালে ঢোকে। নিরাপত্তা না থাকায় মাদকসেবীরাও পাহাড়ে ওঠে।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ একরাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভবন সংস্কারের বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগের আওতায়। এ বিষয়ে তাদের জানানো হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য ৩০ জন আনসারের কথা বলা হয়েছে। এটির প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। শয্যা বাড়ানোর আগে জনবল বাড়ানো প্রয়োজন।

শুরুতে এটি কেবল একটি ডিসপেনসারি হিসেবে যাত্রা শুরু করে। তবে ১৯০১ সালে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হিসেবে এর কার্যক্রম শুরু হয়। সে সময় জেলা সদর হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত এই হাসপাতাল ১৯৮৬ সালে ৮০ শয্যা এবং পরে ১৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে জনবল থেকে যায় ১০০ শয্যার। সেই পুরোনো জনবল কাঠামোতেই সর্বশেষ ২০১২ সালে হাসপাতালটিতে ২৫০ শয্যার সেবা শুরু হয়। তবে এখনো জনবল সে–ই অর্ধেক।

হাসপাতাল–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শয্যা ২৫০টি হলেও এখানে চিকিৎসক ও নার্স আছেন প্রয়োজনের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ। আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও কনসালট্যান্ট মিলিয়ে ৪০ থেকে ৪২ জন চিকিৎসক আছেন। অথচ ২৫০ শয্যার হাসপাতালের জনবলকাঠামো অনুযায়ী ৬৫ থেকে ৬৭ জন চিকিৎসক থাকার কথা। পদ সৃষ্টি না হওয়ায় নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে চিকিৎসকদের মতে, যে সংখ্যক রোগী এখানে আসেন, এর জন্য ১০০ জনের বেশি চিকিৎসক প্রয়োজন। নেই পর্যাপ্ত নার্স ও মিডওয়াইফও।

এ ছাড়া হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জামেরও সংকট রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমআরআই মেশিন বর্তমানে নষ্ট। ইকোকার্ডিওগ্রাফি মেশিনও প্রায় সময় অচল থাকে। এ ছাড়া নিয়মিত বিভিন্ন পরীক্ষার জন্যও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা। তবে এসবের মধ্য দিয়েই চলছে রোগীর সেবা। মূলত বাজেট বরাদ্দ না থাকায় যন্ত্রপাতি কেনায় অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে সংকট সত্ত্বেও বহির্বিভাগের সেবার মান নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন রোগীরা। তবে বিভিন্ন সময় এসে টিকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন রোগী। এ বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে সেবা নিয়েছেন ২ লাখ ৭০ হাজার ৮৭২ জন রোগী। জরুরি সেবা নিয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার রোগী।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিক আমান প্রথম আলোকে বলেন, জনবল স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে রোগীদের পুরোপুরি সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যে সংখ্যক চিকিৎসক থাকার কথা, তার তিন ভাগের এক ভাগ দিয়ে সেবা চলছে। চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো হলে পুরোপুরি সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

হাসপাতালে বিভিন্ন চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেনারেল হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ও বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শয্যা বাড়লেও সেখানে পদ বাড়ানো হয়নি। নিরাপত্তার জন্য তাঁদের ৩০ জন আনসার অনুমোদন করা হয়েছে। বাকি বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নগরের হাসপাতালটিতে রোগীরা কেন থাকতে চান না