উচ্চশিক্ষায় বেছে নিতে পারেন ডেনমার্ক
Published: 2nd, March 2025 GMT
জীবনযাত্রা ও শিক্ষারমানসহ নানা কারণে ডেনমার্ক উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষার সুযোগসহ নানা বিষয় নিয়ে জানিয়েছেন ডেনমার্কের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ডেনমার্ক এর শিক্ষার্থী নিশীথ দত্ত ।
উচ্চশিক্ষায় ডেনমার্ক কেন পছন্দ করা উচিত এমন প্রশ্নের জবাবে নিশীথ জানান, ডেনমার্ক একটি পরিচ্ছন্ন উন্নত দেশ। কম খরচে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে লক্ষ্য স্থির করি দেশের বাইরে থেকে উচ্চশিক্ষা নেব। সে লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করি।
বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন : ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে হবে। ডেনমার্কের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হলো– আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়, ডেনমার্কের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ডেনমার্ক, আলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, কোপেনহেগেন বিজনেস স্কুল, রসকিল্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহেগেন। এ ছাড়া ডেনমার্কের আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের পছন্দ অনুসারে বিভিন্ন বিষয় বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ডিপার্টমেন্ট এবং সাবজেক্ট নির্বাচন করতে হবে।
প্রস্তুতি যেভাবে শুরু : বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের পরপরই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হল মোটিভেশনাল লেটার, রিকমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশ পত্র এবং জব এক্সপেরিয়েন্স আইইএলটিএস পেপার। যেহেতু ডেনমার্কে আইএলটিএস বাধ্যতামূলক সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬.
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করে চূড়ান্ত বিষয় ক্রমানুসারে নির্বাচন করে দিতে হবে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফলাফল জানিয়ে দেবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ সেমিস্টারের টিউশন ফি ৪ থেকে ৭ লাখ টাকার মতো বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করতে হবে। সেমিস্টার ফি প্রদানের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসটি-১ ফর্ম প্রেরণ করবে। ফর্মটি পূরণ করে ভিএফএস এ ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। যেখাবে অ্যামবাসি ফি ৩০ হাজার টাকা এবং কেস অর্ডার আইডি ফি ৪২ হাজার টাকার মতো প্রদান করতে হবে। এরপর অ্যামবাসিতে প্রয়োজন অনুসারে ইন্টারভিউ এবং ফিঙ্গার এবং চোখের স্ক্যান করাতে হবে এবং পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর এম্বাসি ভিসা ইস্যু করবে।
সঙ্গী হবে স্পাউস ও সন্তান : ডেনমার্কে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি চাইলে আপনার স্পাউস এবং সন্তান সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ম্যারেজ সার্টিফিকেট এবং শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জন প্রতি ১৫ লাখ টাকা করে দেখাতে হবে। তবে সুবিধা হচ্ছে এই টাকার সোর্স বিশ্ববিদ্যালয় বা অ্যামবাসি যাচাই করে না।
যে সব স্কিল জানা জরুরি : ডেনমার্কে কাজের ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো ভাষা। ডেনিশ ভাষা জানা থকলে কাজ পাওয়া সহজ হয়। রেস্টুরেন্ট কুকিং, ড্রাইভিং অন্যান্য সফট এবং হার্ড স্কিল থাকলে ভালো টাকা উপার্জন করা সম্ভব।
কাজের সুযোগ : ডেনমার্ক এ স্কিল ভেদে নানা ধরনের কাজ করা যায় তবে শিক্ষার্থীদের জন্য রেস্টুরেন্ট, ফুড ডেলিভারি, ক্লিনিং এবং সুপারশপ এ কাজের সুযোগ বেশি। শিক্ষার্থী সপ্তাহে নির্দিষ্ট সময় কাজ করার সুযোগ থকলেও স্পাউস ফুল টাইম কাজ করতে পারবেন।
পিআর ও অন্যান্য সুবিধা : ডেনমার্কে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে ভাষা জানা অত্যন্ত জরুরি পাশাপাশি স্থায়ী চাকরি থাকাও অনেক ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। ডেনমার্কে বড় সুবিধা হলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স লেখাপাড়ায় ৫ বছরের ভিসা পাওয়া যায়। এ ছাড়া সব কিছু ঠিক থাকলে ৭-৮ বছরের মধ্যে নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব।
ডেনমার্ক ইউরোপের অন্যতম একটি সুন্দর এবং অর্থনৈতিকভাবে একটি সমৃদ্ধিশালী দেশ। স্বপ্নের দেশে যেতে চাইলে এখনই আপনার লক্ষ্য স্থির করুন সে লক্ষ্যে নিজেকে প্রস্তুত করুন। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট ন করত পছন দ
এছাড়াও পড়ুন:
টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।