দুই নতুনের কাছে হার ঐহিত্যবাহী মোহামেডান-আবাহনীর
Published: 3rd, March 2025 GMT
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) গত মৌসুমের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। এবার তারা প্রথম ম্যাচেই হারের স্বাদ পেয়েছে। তাও ডিপিএলে প্রোমোশন পাওয়া নতুন দল অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৬ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনীকে।
তামিম ইকবালকে অধিনায়ক করে শক্তিশালী দল গঠন করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে তারাও হেরেছে ১০৭ রানের বড় ব্যবধানে। ডিপিএলের চলতি মৌসুমের প্রথম দিনের ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৩ উইকেটে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
বিকেএসপিতে মোহামেডানের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে গুলশান ক্লাব ৮ উইকটে ২৯৮ রান করে। দলটির হয়ে ১১০ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন ২২ বছর বয়সী পেস অলরাউন্ডার ইফতেখার হোসেন ইফতি। এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ী ওপেনার জাওয়াদ আবরার ৮৬ বলে ৭৫ রান করেন।
জবাবে তামিমের মোহামেডান ৪০.
অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে আবাহনী শুরুতে ব্যাট করে ইনিংসের শেষ বলে ২৩৪ রান তুলে অলআউট হয়। ৫ ওভার থাকতে জয় তুলে নেয় অগ্রনী ব্যাংক। পারভেজ ইমন, মোসাদ্দেক হোসেন ফিফটি পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। অগ্রণী ব্যাংকের ইমরুল কায়েস ৯৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতান।
রূপগঞ্জ টাইগার্স শুরুতে ব্যাট করে ৮ বল থাকতে ২১৬ রানে অলআউট হয়। জবাব দিতে নেমে প্রাইম ব্যাংক ১১৩ রানে হারায় ৭ উইকেট। কিন্তু শামীম পাটোয়ারি ৮৩ বলে ১০টি চার ও চারটি ছক্কার শটে ৯৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জেতান। খালেদ ২৮ রান করে শামীমের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়েন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড প এল র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
২০৭ রানে শেষ অস্ট্রেলিয়া, জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ২৮২
লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তৃতীয় দিনেই জমে উঠেছে খেলা। দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্কের দৃঢ়তায় ২০৭ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের লিড থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৮২ রান।
ম্যাচে বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন চারটি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট তুলে নেন এই প্রোটিয়া গতিতারকা। অস্ট্রেলিয়ার শেষ ব্যাটার হিসেবে অপরাজিত ছিলেন মিচেল স্টার্ক, খেলেছেন ৫৮ রানের কার্যকরী ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ২১২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথ ও বেউ ওয়েবস্টার ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি। জবাবে কামিন্সের আগুনে পেসে ১৩৮ রানেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৭৩ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারায় তারা। একে একে ব্যর্থ হন উসমান খাজা (৬), ক্যামেরুন গ্রিন (০), ট্র্যাভিস হেড (৯), স্টিভ স্মিথ (১৩) ও কামিন্স (৬)। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্ক। অষ্টম উইকেটে দুজন গড়েন ৬১ রানের জুটি। ক্যারি করেন ৪৩ রান, স্টার্ক তুলে নেন ফিফটি।
শেষ উইকেটে জশ হ্যাজলউডকে নিয়ে আরও একবার প্রতিরোধ গড়েন স্টার্ক। দুইজন মিলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান ২০০ পেরিয়ে। শেষ পর্যন্ত হ্যাজলউডকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করেন এইডেন মার্করাম।
এখন প্রোটিয়াদের সামনে সুযোগ ইতিহাস গড়ার। প্রথমবারের মতো টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে তাদের প্রয়োজন ২৮২ রান।