ব্যালন ডি’অর কেন বয়কট করেছেন জানালেন ভিনিসিয়ুস
Published: 4th, March 2025 GMT
গত বছর ব্যালন ডি’অর পুরস্কার নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। শুরুতে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ব্যালন ডি’অর জয় নিশ্চিত মনে হলেও শেষ দিকে বদলে যায় দৃশ্যপট। একেবারে শেষ দিন গিয়ে জানা যায়, ভিনিসিয়ুস নন, ব্যালন ডি’অর জিততে যাচ্ছেন রদ্রি।
এ খবর সামনে আসার পর ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান বয়কট করে রিয়াল মাদ্রিদ। এবার ব্যক্তিগতভাবে ব্যালন ডি’অর বয়কট নিয়ে কথা বলেছেন ভিনি। বলেছেন, রিয়াল মাদ্রিদ মানা করার কারণেই সেদিন প্যারিস যাননি তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে আজ রাতে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলবে রিয়াল।
এই ম্যাচ সামনে রেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ভিনিসিয়ুস। সেখানে গত বছর ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে না যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভিনিসিয়ুস বলেছেন, ‘আমাকে আমার ক্লাব যা করতে বলেছিল তা–ই করেছি। তারা আমাকে মাদ্রিদে অবস্থান করতে বলেছে, আমি সেটাই করেছি। কোনো সমস্যা নেই। আমরা এখন পরেরটাই মনোযোগ দিচ্ছি।’
আরও পড়ুনরিয়ালে অন্য লড়াই: এমবাপ্পের চেয়ে বেশি বেতন চান ভিনিসিয়ুস, বেলিংহাম১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এরপর আলোচনায় থাকার পরও নিজের ব্যালন ডি’অর জিততে না পারার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ভিনিসিয়ুস বলেন, ‘আমি কখনো এটা (ব্যালন ডি’অর) জেতার স্বপ্ন দেখিনি। কিন্তু অবশ্যই আপনি যদি এত কাছে যাবেন, তখন সেটা পেতে চাইবেন। তবে আমার পুরস্কার জেতার অন্য এবং এই ক্লাবের হয়ে ট্রফি জেতার অন্য সুযোগ আছে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমি দুটি ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি জিতেছি। আমি আরও জেতার জন্য এখানে আছি।’
ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের স্বপ্নটা এখন আরও বড়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি