যুগের চিন্তা সম্পাদক বাবলার বিরুদ্ধে সাংবাদিক জীবনের মামলা
Published: 4th, March 2025 GMT
দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার সম্পাদক মোরছালিন বাবলা ও তার পত্রিকার সাংবাদিক মাহফুজ সিহানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লা আল মাসুমের আদালতে তিনি এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ্য করেন, গত ১ মার্চ মোরছালিন বাবলার সম্পাদিত দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবনের মানহানি ও ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বর্তমানে পলাতক গডফাদার সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সংবাদ সম্মেলনের একটি ছবি এডিট করে রফিকুল ইসলাম জীবনকে শামীম ওসমানের বিশ^স্ত সহচর হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।
আর এই সংবাদ সম্মেলনটি ছিলো শহীদ জিয়া হলের উপরে জিয়াউর রহমানের মূরাল ভাঙ্গা প্রসঙ্গে। পত্রিকায় যে ছবিটি ছাপা হয় সেই ছবিটিতে আরো অনেক সাংবাদিক শামীম ওসমানের পাশে বসা ছিলেন এবং তার সামনে জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল গুলির ক্যামেরার বুম রাখা ছিলো।
কিন্তু দৈনিক যুগের চিন্তায় এই ছবিটি কেটে অনেককে বাদ দিয়ে এবং টেলিভিশনের বুম গুলি বাদ দিয়ে কেবল মাত্র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবনের ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিনের ছবিটি ছাঁপানো হয়। এবং রফিকুল ইসলাম জীবনকে শামীম ওসমানের বিশ^স্ত সহচর হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।
অথচ এই সাংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমানকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করা হয়। তিনি কেনো জিয়াউর রহমানের ম্যূরাল ভেঙ্গে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন এমন প্রশ্নও করা হয়। তাছাড়া সেই সংবাদ সম্মেলনে দেশের প্রায় সব কয়টি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন এবং পূরো সংবাদ সম্মেলনটি রেকর্ড করা হয়।
মামলার বিষয়ে রফিকুল ইসলাম জীবনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা করার কথা স্বীকার করে বলেন, আইনের আশ্রয় নেয়া ছাড়াতো আমার কোনো উপায় ছিলো না। কারণ অযথাই তিনি (মোরছালিন বাবলা) আমাকে তার পত্রিকায় আক্রমন করেছেন। তাও এমন একটি পত্রিকা যে পত্রিকায় আমি বছরের পর বছর নিজের মেধা ও শ্রম দিয়ে শত শত রিপোর্ট করেছি।
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব তাকে শোকজ করেছে। আমিতো ব্যক্তিগত ভাবে শোকজ করেনি বা করতে পারি না। কমিটি যা পাশ করবে তাতে আমি স্বাক্ষর করতে বাধ্য। অথচ তিনি জেনে শুনে আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমন করে বসলেন।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, জনপ্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সকলেই আমাকে চিনেন এবং জানেন আমি কোন মতাদর্শের মানুষ। অথচ তিনি আমাকে শামীম ওসমানের বিশ^স্ত সহচর বানিয়ে দিলেন।
তাছাড়া প্রেসক্লাব তাকে শোকজ করেছে। তিনি শোকজের জবাব দেবেন। কিন্তু তিনি সেটা না করে আগেই আমার বিরুদ্ধে তার পত্রিকাকে ব্যবহার করলেন। আর শোকজের জবাব দিলেন তার পরে। আসলে এক সময় তিনি টাকার অভাবে পত্রিকা চালাতে হিমসিম খেতেন, কিন্তু এখন তিনি বহু টাকার মালিক। তাই অহংকারে তার মাটিতে পা পরে না।
তাই এখন আর আপন পরও চিনতে চাননা। আমি আশা করি আদালতে ন্যায় বিচার পাবো, ইনশাআল্লাহ। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো তার সাথেও তো বহু বিতর্কিত ব্যক্তির ছবি আছে যা কিনা এখন সোস্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এসব ছবি নিয়ে তিনি কি জবাব দেবেন?
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ শ ম ম ওসম ন র ন র য়ণগঞ জ জ বন র
এছাড়াও পড়ুন:
৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে শহরে শোডাউন করবে মহানগর বিএনপি
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালিকে সফল করতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে শহরের হোসিয়ারি সমিতি প্রাঙ্গণে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর থানা, বন্দর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলাদল, কৃষকদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে এ প্রস্তুতি সভা করেন মহানগর বিএনপি।
প্রস্তুতিসভায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু আগামী ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মহানগরের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে বিশাল শোডাউন করে র্যালি করবে মহানগর বিএনপি।
সেই র্যালি সফল করার লক্ষ্যে মহানগর বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে ব্যানার ফেস্টুনে সু- সজ্জিত হয়ে বিকেল তিনটার মধ্যে নেতাকর্মীদের নিয়ে মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান।
এছাড়াও দলীয় সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে নেতাকর্মীদেরকে দীক নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি সাংগঠনিক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন তারা।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, বিএনপি নেতা আবুল হোসেন রিপন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ, মহিউদ্দিন শিশির, ইকবাল হোসেন, নাসির উল্লাহ টিপু, শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাইফুল ইসলাম বাবু, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ শিবলীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।