দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ভাষণে চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্কারোপের বিষয়টি স্থান পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নেওয়া পদক্ষেপ এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর নিয়ে নিজের কৃতিত্ব তুলে ধরতে পারেন তিনি।

গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে অভিষেক হয় রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। এরপর তাঁর নেওয়া একের পর এক সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রভাব পড়ে দেশে ও দেশের বাইরে।

ট্রাম্প এর আগে নিজের প্রথম মেয়াদে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সবশেষ কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বার্ষিক ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণ দিয়েছিলেন। এর কয়েক সপ্তাহ পরই কোভিড-১৯ মহামারি গোটা বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছিল।

ট্রাম্পের ভাষণের আগে ক্যাপিটল এলাকায় জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্লাকার্ড দেখা যায়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তাঁর প্রশাসনের নতুন বিভাগ ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই) চালানোর দায়িত্বে থাকা ধনকুবের ইলন মাস্ক এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিরুদ্ধে স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করতেও দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। কারও কারও হাতে দেখা যায় ইউক্রেনের পতাকা।

কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রেসিডেন্টের দেওয়া ভাষণে অতিথি নেওয়ার রেওয়াজ আছে। ট্রাম্পের ভাষণের সময় বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে অতিথি হিসেবে সম্প্রতি চাকরিচ্যুত ফেডারেল কর্মীদের থাকছেন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্যের জবাব দেবেন এবং যুক্তি খণ্ডাবেন মিশিগান থেকে নির্বাচিত সিনেটর এলিসা স্লটকিন।

এদিকে ট্রাম্পের ভাষণ দেওয়ার সময় কোনো ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি করা হলে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাদের তিরস্কারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির আইনপ্রণেতারা। ‘হাউস ফ্রিডম ককাস’ হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান পার্টির কট্টর ডানপন্থী আইনপ্রণেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এই হুঁশিয়ারি দেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ৬০০ সেনা নিহত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর পক্ষে প্রায় ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল উত্তর কোরিয়া। তাদের মধ্যে অন্তত ৬০০ জন প্রাণ হারিয়েছে। এমন দাবি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক আইনপ্রণেতা। খবর রয়টার্সের।

স্থানীয় সময় বুধবার গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে আইনপ্রণেতারা বলেছেন, শেষ ছয় মাসে উত্তর কোরীয় বাহিনীর প্রায় চার হাজার ৭০০ সেনা হতাহত হয়েছেন। তবে এই একই সময়ের মধ্যে তাদের যুদ্ধ দক্ষতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতিও চোখে পড়েছে। 

তারা আরও দাবি করেন, সেনা মোতায়েনের বিনিময়ে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত কিছু সুবিধা নিয়েছে পিয়ংইয়ং। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের পাশাপাশি এবং কৃত্রিম গোয়েন্দা উপগ্রহের (স্পাই স্যাটেলাইট) জন্য কারিগরি সহায়তা।

চলতি সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো রাশিয়ার জন্য সেনা প্রেরণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে। তারা জানায়, সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের আদেশে মস্কোর পক্ষে কিয়েভের বিরুদ্ধে সেনা মোতায়েন করেছে তারা। রাশিয়াকে কুরস্ক অঞ্চলের অধিকার ফিরিয়ে দিতে তারা সহায়তা করছে।

উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েন এবং বিপুল গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার কারণে কুরস্ক অঞ্চলে বড় ধরনের সামরিক সুবিধা লাভ করেছে রাশিয়া। এতে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে থাকা দুদেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ঘনিষ্ঠতা আরও বেড়েছে।

উল্লেখ্য, তৃতীয় কোনও দেশে কর্মী পাঠাতে উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে অন্য দেশে কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে দেশটি বিপুল অর্থ উপার্জন করে বলে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করে থাকেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ৬০০ সেনা নিহত