আমাদের শহরগুলো হয়ে উঠুক সবার জন্য বাসযোগ্য: ফারহানা রশিদ
Published: 5th, March 2025 GMT
‘জ্ঞান যদি শক্তি হয়, তাহলে আমরা কী জানি না, সেটা জানাই হলো প্রজ্ঞা।’ উক্তিটি নেওয়া হয়েছে অ্যাডাম গ্র্যান্টের বই ‘থিংক এগেইন’ থেকে। শহরকে স্বাস্থ্যকর ও বাসযোগ্য করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘ভূমিজ’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফারহানা রশিদের এই উক্তিটি খুবই প্রিয়।
ফারহানা রশিদ একজন প্রকৌশলী। তবে এর পাশাপাশি শহুরে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতেও তিনি অগ্রগামী। তার উদ্যোগ ‘ভূমিজ’- এর মাধ্যমে তিনি জনসাধারণের জন্য নিরাপদ ব্যবহার্য শৌচাগার তৈরিতে সংকল্পবদ্ধ। বিশেষ করে নারীরা যেন নিরাপদে এবং নির্ভয়ে চলাচল করতে পারেন, এমন পরিস্থিতি তৈরিই তার লক্ষ্য।
এক সময়ে গণশৌচাগার জায়গাটি নারীর জন্য ছিল রীতিমত বিভীষিকার মতো। গণশৌচাগার অথবা পাবলিক টয়লেট ব্যবহারকারী নারীর সংখ্যা ছিল খুবই কম, মাত্র ৩ শতাংশের মতো। কিন্তু ইউনিলিভারের ডোমেক্সের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ‘ভূমিজের’ নেওয়া উদ্যোগের কারণে এখন তৈরি হয়েছে নিরাপদ, পরিষ্কার এবং সহজে ব্যবহার্য শৌচাগার। এসব শৌচাগার ব্যবহারকারী নারীর সংখ্যা বেড়ে গেছে প্রায় ২৫ শতাংশ এবং কিছু স্থানে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। এ থেকে প্রমাণ হয় যে সঠিক সমাধানের মাধ্যমে অনেক বাধা পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব, শহরকে আরও বেশি মানুষের জন্য জীবনধারণের যোগ্য করে তোলা সম্ভব।
আগামীর জন্য ফারহানা রশিদের স্বপ্ন এটাই- আমাদের শহরগুলো হয়ে উঠুক সবার জন্য বাসযোগ্য। যারা পরিবর্তন আনতে চান, তাদের প্রতি ফারহানার আহ্বান, পুরাতন ধ্যানধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে, ভবিষ্যতে শহরের নকশাগুলো তৈরি করতে হবে যত্নে এবং সবার জন্য নিরাপত্তা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। উদ্ভাবন এবং পারস্পরিক সহায়তার মধ্য দিয়ে তৈরি হবে আগামীর এমন শহর, যেখানে সবাই নিজের সম্মান ও স্বাধীনতা রক্ষা করে চলতে পারবে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ইউনিলিভার বাংলাদেশের ‘এক্সেলারেট অ্যাকশন - এম্পাওয়ার্ড ওমেন, এম্পাওয়ারিং দা ফিউচার’ ক্যাম্পেইনের অধীনে ফারহানা রশিদের একাগ্রতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
ভবিষ্যতের হাল ধরতে চান যারা, সেসব নারীদের জন্য ফারহানা রশিদের উপদেশ- নিজের পরিকল্পনার ওপর বিশ্বাস রাখুন। একাগ্রভাবে কাজ করতে থাকলে একে এক সব রাস্তাই আপনার জন্য খুলে যাবে। সমাজে যে পরিবর্তন আনতে চান, নিজের কাজের মাধ্যমেই সেই পরিবর্তনকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব শ ব যবহ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএইচএস মোটরস দেশে আনল চীনের ‘জিএসি’ ব্র্যান্ডের গাড়ি
ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড তার পোর্টফোলিওতে যুক্ত করেছে আরেকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড চীনের ‘জিএসি’। জিএসি চীনের পঞ্চম বৃহত্তম অটোমোবাইল নির্মাতা। নিজস্ব গাড়ির পাশাপাশি জিএসি চীনে হোন্ডা এবং টয়োটা গাড়ির যৌথ উদ্যোগ অংশীদার।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ঢাকা মোটর শোতে এ খ্যাতনামা ব্র্যান্ড উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশে জিএসির যে মডেলগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে, সেগুলো হলো— কমপ্যাক্ট এসইউভি জিএসি EMKOO, ছোট ও স্পোর্টি এসইউভি জিএসি EMZOOM এবং বিলাসবহুল এমপিভি জিএসি E9।
বাংলাদেশের বাজারে জিএসি উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের অটোমোবাইল শিল্পকে আরো শক্তিশালী করল ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভবিষ্যতে ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড জিএসির ইভি মডেল যুক্ত করে তাদের মডেল লাইনআপ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এছাড়া, ডিএইচএস খুব শিগগিরই দেশে জিএসি গাড়ির অ্যাসেম্বলি শুরু করার পরিকল্পনা করছে।
অনুষ্ঠানে ডিএইচএস মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান জামান খান, জেনারেল ম্যানেজার আরমান রশীদ ও ফারহান সামাদ, জিএসির কান্ট্রি ম্যানেজার ড্যানিয়েল ঝাউ, রেমন ওয়াং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/রফিক