একজন ধর্ষক কীভাবে জামিন পায়, প্রশ্ন ফারিয়ার
Published: 5th, March 2025 GMT
অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বেশ সক্রিয়। ব্যক্তিগত জীবন ও ক্যারিয়ারের পাশাপাশি সমসাময়িক নানা ইস্যুতে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। এবার তিনি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললেন, প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন এক ধর্ষকের জামিন পাওয়ার ঘটনায়।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি সংবাদমাধ্যমের ফটোকার্ড শেয়ার করেছেন শবনম ফারিয়া।
ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘যেখানে ধর্ষকের শাস্তি আমরা মৃত্যুদণ্ড চাই, সেখানে তারা জামিন পেয়ে ঘুরে বেড়াবে? এখানে যা বলা হচ্ছে তা যদি সত্যি হয়, এর থেকে ন্যক্কারজনক কিছু হতে পারে না।’
যোগ করে তিনি বলেন, ‘যদি সত্যি জামিন হয়ে থাকে, তাকে যারা জামিন দিয়েছেন কিংবা এই প্রসেসের সঙ্গে জড়িত, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা জরুরি। দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা এমনিই খারাপ, তার মধ্যে যদি এমন সব ঘটনাও ঘটে, এর থেকে খারাপ দৃষ্টান্ত আর কিছু হতে পারে না।’
অভিনেত্রীর শেয়ার করা ওই পোস্টে যে সংবাদটির প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়, সেখানে দেখা যায় যে, ৮ বছর আগে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে জামিন দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে প্রতিবেশীর মেয়ের সঙ্গে খেলতে গিয়ে ৫ বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ হয়েছিল। পরদিন সেই শিশুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। অপরাধী ৫ বছরের ওই শিশুর মাথা, গলা, হাত ও প্রজনন অঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে। সিগারেটের ছেঁক দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত করে। এ ঘটনার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরাধী সাইফুলের বিরুদ্ধে শিশুর বাবা মামলা করেন। অভিযোগের পর অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
কিন্তু ঘটনার ৮ বছর পর ১৯ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর জেলা কারাগার থেকে দীর্ঘদিন হাজতবাসের কারণ দেখিয়ে জামিনে মুক্তি পেয়েছে সাইফলু!
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শবনম ফ র য় অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’