নান্দাইলের সমূর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত কোচিং ফি’র এক হাজার ৫০০ টাকা ছাড়া ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা সদরের সমূর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রি কলেজে এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার শিক্ষার্থীরা কলেজে গিয়ে জানতে পারেন, ফরম পূরণের জন্য বোর্ড দুই হাজার ৬২০ টাকা নির্ধারণ করলেও কলেজ নির্ধারণ করেছে তিন হাজার ৬০০ টাকা। তাছাড়াও সবার জন্য কোচিং বাধ্যতামূলক করে ফি বাবদ ধরা হয়েছে আরও এক হাজার ৫০০ টাকা। বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের টাকার পরিমাণ আরও কিছুটা বেশি। শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোচিং ফি’র টাকা ছাড়া কাউকে ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে না। 

বুধবার দুপুরে ইউএনও কার্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীরা তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বোর্ড ফি, কোচিং ফি এবং কলেজের সাবেক পাওনা সব মিলিয়ে তাদের একেকজনের ফরম পূরণ করতে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা লাগবে। এর পর কলেজে এসে কোচিং করতে যানবাহনের ভাড়া বাবদ প্রতিদিন তাদের আরও ১০০ টাকা করে ব্যয় করতে হবে। তাদের মতো দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এত টাকা ব্যয় করা কষ্টকর। তাই তারা কোচিং ফি’র টাকা ছাড়া ফরম পূরণ করতে চান। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ কোচিং ফি ছাড়া ফরম পূরণ করতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন। প্রতিকার চান তারা। 

এ বিষয়ে নান্দাইলের সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাদল কুমার দত্ত জানান, তাদের কলেজে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ বাবদ ধরা হয়েছে দুই হাজার ৬২০ টাকা, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের একটু বেশি লাগবে, কোচিং বাধ্যতামূলক করা হয়নি।

সমূর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রি কলেজে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বলেন, কলেজের এইচএসসির ফলাফল এতদিন ভালো ছিল, কিন্তু গত বছর খুব খারাপ হয়েছে। তাই কলেজ পরিচালনা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক অতিরিক্ত ক্লাস করতে হবে। তিন মাস অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য জনপ্রতি এক হাজার ৫০০ টাকা ফি ধরা হয়েছে। এর পরও বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল একটি বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার জানান, কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আবেদনের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। অতিরিক্ত টাকা দাবির পেছনে কী যুক্তি আছে তা লিখিতভাবে উপস্থাপনের জন্য অধ্যক্ষকে বলা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউএনও র জন য কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

মোবাইল গেমে আসক্ত এইচএসসি পরীক্ষার্থীর কাণ্ড

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে জয় সাহা (১৯) নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৭ এপ্রিল) নিজ বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

জয় সাহা কটিয়াদী পৌরসভার পশ্চিমপাড়া মহল্লার কানু লাল সাহার ছেলে। চলতি বছর ময়মনসিংহ নটরডেম কলেজ থেকে তার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।

নিহতের স্বজনেরা জানান, জয় সাহা মোবাইল ফোনে গেমে অতিরিক্ত আসক্ত ছিল। দিনের বেশির ভাগ সময় সে ঘুমিয়ে কাটাত এবং রাতে মোবাইলে গেম খেলত। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে তার বাবা ফোন বন্ধ করে ঘুমানোর জন্য তাগিদ দেন। এরপর ছেলেকে ঘুমিয়ে পড়তেও দেখেন। রবিবার সকালে জয়ের মা ছেলের রুমে ঢুকে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

আরো পড়ুন:

মাধবপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

কুড়িগ্রামে ছুরিকাঘাতে মসলা বি‌ক্রেতা নিহত

জয় সাহার চাচা বেনু লাল সাহা বলেন, ‘‘জয় মোবাইল গেমে অতিরিক্ত সময় কাটাত। বিকেলে ওর বন্ধুরা মাঠে গিয়ে খেলা করলেও সে একা ঘরে মোবাইল চালাত। ধারণা করছি, মোবাইল গেমের কারণে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়ে হতাশয় সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।’’

কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি অপমৃত্যু হিসেবে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’’

ঢাকা/রুমন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মোবাইল গেমে আসক্ত এইচএসসি পরীক্ষার্থীর কাণ্ড