বুধবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ডিপিএলের ম্যাচ ছিল তার। রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তাকে গার্ড অব অনার দেন সতীর্থরা। ম্যাচে ব্যাট করতে হয়নি, তবে তিন ডিসমিশাল করেন মুশফিক। হার দিয়ে আসর শুরু করা মোহামেডানও পেয়েছে ৭ উইকেটের বড় জয়।

মোহামেডানের মতো হার দিয়ে ডিপিএল মৌসুম শুরু করেছিল গত মৌসুমের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। বৃহস্পতিবার তারা গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ধসিয়ে ১৬৫ রানের বিশাল জয় পেয়েছে। এছাড়া প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জিতেছে পারটেক্স গ্রুপ।

মিরপুরে রূপগঞ্জ ৯ উইকেটে ২২২ রান করে। মোহামেডান ৩৭.

৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ওই রান তুলে ফেলে। মোহামেডানের হয়ে ওপেনার তামিম ইকবাল ১৪ রান করে ফিরে যান। তিনে নামা মাহিদুল অঙ্কন ৯৭ বলে ৮১ রান করেন। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। তাওহীদ হৃদয় ৪৭ বলে ৭৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ১১টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা তোলেন তিনি।

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে গুলশান ক্লাবের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে আবাহনী ৬ উইকেটে ৩২৬ রান তোলে। পারভেজ ইমন ১২৪ বলে ১২৬ রান করেন। নয়টি চার ও আটটি ছক্কা মারেন তিনি। মোহাম্মদ মিঠুন ৬৫ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন। জবাবে লিটন দাস, জাওয়াদ আবরার, আজিজুল হাকিম, ইফতিদের গুলশান ক্লাব ২৯.৪ ওভারে ১৬১ রানে অলআউট হয়।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংক শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৯৯ রান তোলে। ওপেনার নাঈম শেখ ৪৬ রান করেন। তিনে নামা জাকির হাসান ৩৯ রান যোগ করেন। শাহাদাত দিপু ৬৪ রান করেন। শামীম পাটোয়ারি ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন। জবাবে পারটেক্সের রুবেল মিয়া ৪১, অধিনায়ক সাব্বির রহমান ৪৩ বলে ৫৩ এবং আলাউদ্দিন বাবু ৩২ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে পারটেক্সকে জেতান।   

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল র ন কর ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ