ব্যাটসম্যানদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যত রেকর্ড এবার
Published: 7th, March 2025 GMT
ইতিহাসে এবারই প্রথমবার দুই দেশে হলো আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। হাইব্রিড মডেলের সেই টুর্নামেন্টে এখন বিদায়ের রাগিণী। আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি। ৯ মার্চের সেই ফাইনালের আগেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পুরোনো অনেক রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে আট দলের এই টুর্নামেন্ট।
বৃষ্টিতে দুটি ম্যাচে একটি বলও হয়নি। আরেকটি ম্যাচে খেলা হয়েছে অর্ধেকের একটু বেশি। তবু ছক্কার রেকর্ড করে ফেলেছে এবারের টুর্নামেন্ট। সেমিফাইনাল পর্যন্ত ছক্কা হয়েছে ১২৭টি, যা আগের রেকর্ডের চেয়ে ১৪টি বেশি। আগের রেকর্ডটা হয়েছিল ২০১৭ সালে—১১৩টি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এই দুই আসরেই শুধু ১০০-র বেশি ছক্কা মেরেছেন ব্যাটসম্যানরা।
সেঞ্চুরির রেকর্ডও হয়ে গেছে। এর আগে দুবার ১০টি করে সেঞ্চুরি দেখলেও এবার ফাইনালের আগেই ১৪টি সেঞ্চুরি হয়ে গেছে। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় সেমিফাইনালেই সেঞ্চুরি হয়েছে তিনটি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড এটাই। এর আগে ১১ ম্যাচে দুটি করে সেঞ্চুরি হয়েছে।
১-২চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত দুটি ইনিংসই এবারের টুর্নামেন্টে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের বেন ডাকেট ১৬৫ রান করে ভাঙেন ২০০৪ সালে নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাস্টলের রেকর্ড। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন অ্যাস্টল। ডাকেটের রেকর্ডটা ৪ দিন পরেই কেড়ে নেন ইব্রাহিম জাদরান। আফগানিস্তান ওপেনার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ১৭৭ রান।
আরও পড়ুন২৭৪ ম্যাচ, ১৮ বছরের ক্যারিয়ার..., যত রেকর্ড নিয়ে ওয়ানডে ছাড়লেন মুশফিক২২ ঘণ্টা আগে৬৭
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরিটি দ্বিতীয় সেমিফাইনালে করেছেন ডেভিড মিলার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করে বীরেন্দর শেবাগ ও জশ ইংলিসের রেকর্ড ভাঙেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের শেবাগ ও এবারই অস্ট্রেলিয়ার ইংলিস ৭৭ বলে সেঞ্চুরি করেন।
৬৭ বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েছেন ডেভিড মিলারউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট