নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভারতীয় টিভি ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে এমন অভিযোগ করেন এই অভিনেত্রী। 

দেবচন্দ্রিমা বলেন, “আমি বাধ্য হয়ে এই ভিডিও বানাচ্ছি। কারণ খুব ভয় পেয়েছি। ‘অরিন্দম’ নামে একটি ছেলে, যাকে আমি ইনস্টাগ্রামসহ সমস্ত জায়গায় ব্লক করেছি। আমি নিশ্চিত সে মানসিকভাবে সুস্থ নয়। সে নিজেকে আমার ফ্যান বা হেটার্স কোনো কিছু বলেই দাবি করে না। আমি নিজেও বুঝতে পারি না সে কি। সেই ছেলেটি আমার বাড়ি চলে আসে; দরজা ধাক্কা দিয়ে বলে, ‘আমাকে ভেতরে যেতে দাও, দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে দেখা করব।’ আমি জানি না, মানুষের এত সাহস কী করে হয়।

এটা প্রেমঘটিত কোনো বিষয় নয় বলে দাবি করেন দেবচন্দ্রিমা। তার ভাষায়, “কখনো কখনো ভালোবেসে কাছ থেকে দেখার জন্য কেউ বাড়ি চলে আসে। কিন্তু আমার মনে হয় না এটা ভালোবাসা বা তার কোনো রূপ। ছেলেটিকে মানসিকভাবে অসুস্থ মনে হয়েছে। আমি এখন রীতিমতো নার্ভাস হয়ে পড়েছি।”

আরো পড়ুন:

কেন এক বছর কথা বলেননি কারিনা-করন?

তারা কেন দুটো করে ঘড়ি পরেন?

নানাভাবে উত্যক্ত করে অভিনেত্রীর জীবন খারাপ করে দিয়েছে ছেলেটি। এ তথ্য উল্লেখ করে দেবচন্দ্রিমা বলেন, “ছেলেটি আমার ডিজাইনারকে ফোন করে হুমকি দিয়েছে। আমি কী জামা পরব সেটা নিয়েও হুমকি দেয়। নমিতাকে (ডিজাইনার) বারবার ফোন করে বিরক্ত করে। আমাদের সবার জীবন একদম খারাপ করে দিয়েছে ছেলেটা। ভাগ্য ভালো ওর কাছে আমার ফোন নাম্বারটা নেই। নাহলে এতদিনে অনেক কিছু হয়ে যেত।”

পুরো ঘটনা নিয়ে স্থানীয় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন দেবচন্দ্রিমা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি আজ বাধ্য হয়ে ছেলেটির সঙ্গে কথা বলি এবং কল রেকর্ড করি। আমার উপর চিৎকার করতে থাকে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এখন কলকাতায় একা। পুলিশে অভিযোগ করেছি। সে হয়তো কারো বাড়ির ছেলে, সন্তান। আমি চাই না কারো ক্ষতি হোক। কিন্তু এরপরও যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে তার জন্য আমি দায়ী থাকব না।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ