ম্যাচ ডে’তে রোজা না রাখাই সমালোচিত শামি
Published: 7th, March 2025 GMT
ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতেক সুস্থ মুসলমানের জন্য রোজা রাখা ফরয। রমজান মাসে অনেক অ্যাথলেটকেই ম্যাচ ডে’তে খেলার সাথেই সিয়াম সাধনা করতে দেখা যায়। বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বহু ম্যাচে রোজা রেখে খেলেছেন। লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ এবং সাবেক রিয়াল তারকা করিম বেনজেমাও সিয়াম পালন করেই খেলতে নেমে গিয়েছিলেন বহু বড় ম্যাচ। এমনকি হাশিম আমলা তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংসটা (৩১১*) খেলেছিলেন রোজা রেখেই। তবে চলমান আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি রোজা রাখছেন না।
সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফিল্ডিং করার সময় বাউন্ডারি লাইনে ক্রিকেটার মুহাম্মদ শামিকে দেখা গিয়েছে, এনার্জি ড্রিংকস পান করতে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের সর্বভারতীয় সভাপতি মওলানা শাহাবুদ্দিন রিজভি দাবি করেছেন যে, শরিয়ত মতে অপরাধ করেছেন শামি।
রিজভি বলেন, “শামি রোজা রাখেননি। আবার পানিও পান করেছেন। তার এই কাজে জনগণের কাছে ভুল বার্তা গিয়েছে। রোজা না রেখে শামি পাপ করেছেন।”
আরো পড়ুন:
ফাইনালে যে পাঁচ বিষয়ে চোখ থাকবে
বাড়তি ভ্রমণে বিরক্ত মিলার ফাইনালে কিউইদের সমর্থক
ইসলামিক নিয়মের ব্যাপারে জাবিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য মওলানা খালিদ রশিদ ফারাঙ্গি মাহলি। খালিদ বলেন, “রোজা রাখাটা প্রত্যেক মুসলিমের জন্যই বাধ্যতামূলক। বিশেষ করে রমজান মাসে। যদিও আল্লাহ কোরআনে পরিষ্কার উল্লেখ করেছেন যে, যদি কোনও ব্যক্তি কোথাও যান বা অসুস্থ হন, তাহলে তিনি রোজা পালন না-ও করতে পারে। মহম্মদ শামি সফরে গিয়েছেন। তাই তিনি রোজা পালনে ছাড় পেয়েছেন। কেউ ওর দিকে আঙুল তুলতে পারবে না। এনিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা উচিত নয়।”
এদিকে শামির ভাই মোহাম্মদ হাসিব জানান, তার ভাই রোজা পালন করছেন। তবে তিনি ম্যাচের দিন রোজা রাখছেন না। বাকি দিনগুলোয় অবশ্য তিনি নিয়মমাফিক রোজা পালন করেছেন। হসিব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “শামি নিয়মিত রমজান পালন করেন। ম্যাচের জন্য যে রোজা তিনি রাখতে পারেননি, পরে সেটাও তিনি পালন করে নেবেন।”
এই পরিস্থিতিতে শামির রবিবার (৯ মার্চ, ২০২৫) নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবেন। এই ৩৪ বছর বয়সী পেসারের ছেলেবেলার কোচ বদরুদ্দিন সিদ্দিকি মনে করেন যে, দেশ সবার আগে। বদরুদ্দিন বলেন, “শামি যা করেছেন, একেবারে ঠিক করেছেন। ওর এসব দিকে নজর দেওয়ার কোনও দরকার নেই। ওর উচিত এখন ফাইনাল ম্যাচের দিকে নজর রাখা। আপনি কোনও পাপ করেনি। আপনি যা করেছেন, দেশের জন্য করেছন।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ কর ছ ন ফ ইন ল র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বকাপে জায়গা করতে বিশ্বকাপজয়ীকে কোচের দায়িত্ব দিল ইতালি
দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা যে কতটা গৌরবের আর আনন্দের, সেটা একজন বিশ্বকাপ জয়ের-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়ের চেয়ে আর কে ভালো বোঝাতে পারবেন?
আর এমন ভাবনা থেকেই এবার গানারো গাত্তুসোকে জাতীয় ফুটবল দলের কোচ নিয়োগ দিয়েছে ইতালি। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করা নিয়ে শঙ্কায় আছে। এর আগে খেলতে পারেনি ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে। টানা তৃতীয় আসর যাতে দর্শক হয়ে না থাকতে হয়, সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী গাত্তুসোকে দায়িত্ব দিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এফআইজিসি।
২০২৬ বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান বাছাইয়ে ইতালি খেলছে ‘আই’ গ্রুপে। পাঁচ দলের গ্রুপ থেকে শুধু শীর্ষ স্থানধারী দলই বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করতে পারবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাবে। এই মুহূর্তে ‘আই’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নরওয়ে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইসরায়েল। ইতালির অবস্থান তিনে, ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে নরওয়ের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারার পরই এফআইজিসি কোচ লুসিয়া স্পালেত্তিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিদায় নিশ্চিতের পরও সোমবার মল দোবার বিপক্ষে ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়ান স্পালেত্তি, ম্যাচটি ইতালি ২-০ ব্যবধানে জেতে।
নরওয়ে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জেতায় ইতালি এখন চাপে আছে। হাতে এখনো ৬টি ম্যাচ বাকি। তবে শীর্ষস্থানে থাকতে হলে নিজেদের বাকি সব ম্যাচ তো জিততেই হবে, নরওয়েকেও পয়েন্ট হারাতে হবে। আর এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই ইতালি দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন গাত্তুসো।
৪৭ বছর বয়সী গাত্তুসো ২০০০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ইতালির জাতীয় দলে খেলেছেন। এর মধ্যে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সেরা পারফরমারদের একজন ছিলেন। সব ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন, পরে জায়গা করে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপের অলস্টার একাদশেও। ২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ক্লাব সিওনে খেলোয়াড় কাম কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তখন থেকে গত ১২ বছরে মোট ৯টি ক্লাবের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন গাত্তুসো। যার মধ্যে আছে নিজের সাবেক ক্লাব এসি মিলান এবং ভ্যালেন্সিয়া ও মার্শেই। সর্বশেষ ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব হাইদুক স্প্লিটের দায়িত্বে ছিলেন, যা গত মাসে পারস্পরিক সমঝোতায় ছেড়ে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোচ হিসেবে মোট ৩৭৬টি ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে গাত্তুসোর জয়ের হার ৪২.৮২ শতাংশ। জিতেছেন ১৬১টিতে, ড্র ১০৮ আর হার ১০৭-এ।
এখন দেখার বিষয়, ইতালি দলে তার সাফল্যের হার কতটা হয়, বিশেষ করে যখন দলের দরকার শতভাগ জয়। ইতালি জাতীয় দল তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ৫ সেপ্টেম্বর এস্তোনিয়ার বিপক্ষে।