Samakal:
2025-09-18@09:21:07 GMT

বিএনপিপন্থি আইনজীবীর সুদিন

Published: 7th, March 2025 GMT

বিএনপিপন্থি আইনজীবীর সুদিন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কিশোরগঞ্জের আদালতের চিত্র পাল্টে গেছে। পিপি, জিপিসহ সব আইন কর্মকর্তার পদ এখন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের হাত থেকে চলে গেছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হাতে। নতুন নতুন মামলাও পাচ্ছেন  বিএনপির আইনজীবীরা।
জানা গেছে, দেশে প্রতিবার সরকার পরিবর্তনের পর স্বাভাবিক নিয়মেই সরকারি আইন কর্মকর্তাদেরও পরিবর্তন হয়ে থাকে। সাধারণ মানুষের ধারণা, বিএনপির আইনজীবীদের এখন ক্ষমতা বেশি। প্রতিটি আদালতে তাদের কিছু বাড়তি প্রভাব রয়েছে। যে কারণে বিএনপির আইনজীবীদের কাছে মামলা যাচ্ছে বেশি। এমনকি কিছু পুরোনো মামলাও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের হাত থেকে মক্কেলরা নিয়ে গিয়ে বিএনপির আইনজীবীদের দিচ্ছেন। এমনকি বৈষম্যবিরোধী মিছিলে হামলা মামলায় আসামি হওয়া আওয়ামী পরিবারের ব্যক্তিরাও এখন সহজে জামিনের আশায় যাচ্ছেন বিএনপির আইনজীবীদের কাছে। 
আওয়ামী ও বিএনপি বলয়ের বাইরে থাকা সাধারণ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আদালতপাড়ায় আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের পাশাপাশি সাধারণ আইনজীবীদেরও দুর্দিন যাচ্ছে। তাদের ভাষ্য, ফৌজদারি মামলার মধ্যে সবচেয়ে স্পর্শকাতর মামলা হচ্ছে হত্যা মামলা। হত্যা মামলায় সাধারণত আসামিপক্ষ মোটা টাকার বিনিময়ে সবসময় জ্যেষ্ঠ ও অভিজ্ঞ আইনজীবীদের  রাখার চেষ্টা করেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জ্যেষ্ঠ ও অভিজ্ঞ আইনজীবীদের হাত থেকে বেশ কিছু পুরোনো হত্যা মামলা মক্কেলরা নিয়ে গেছেন। এসব মামলায় এখন শুনানি করছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। অনেক মামলার আসামিরা এখন আওয়ামী বলয়ের আইনজীবীদের কাছে যেতে ভরসা পাচ্ছেন না। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক নেতার ভাষ্য, আসামিপক্ষের লোকজনের  ধারণা, আওয়ামী আইনজীবীরা এখন একটা বদনামের মধ্যে আছেন। আদালতে জোর গলায় শুনানি করতে পারেন না। অন্যদিকে বিএনপির আইনজীবীরা সাহস নিয়ে শুনানি করতে পারেন বলে তারা মনে করেন। সে কারণেও তারা বিএনপির আইনজীবীদের কাছে আসেন।
এদিকে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জালাল উদ্দিন জানান, সরকারি আইন কর্মকর্তাদের পদগুলো মূলত রাজনৈতিক পদ। ফলে সরকার বদলের পর এসব পদে স্বভাবতই বদল ঘটে থাকে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আসামিদের বিএনপির আইনজীবীরা মামলায় সহায়তা দিচ্ছেন বলে এক ধরনের অভিযোগ উঠেছে। আইন কর্মকর্তারা কখনও আসামিপক্ষে শুনানি করতে পারেন না। তারা সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন। কিন্তু বিএনপির যারা আইন কর্মকর্তা হননি, তাদের কেউ কেউ পেশাগত কারণে এসব মামলা পরিচালনা করছেন। এটা আইনের দৃষ্টিতে কোনো অন্যায় নয়। কারণ আইনজীবীরা একটি পেশায় আছেন। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র আইনজ ব দ র র আইনজ ব দ র ক ছ আইনজ ব দ র হ ত আইনজ ব র সরক র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে জেলা নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও করেছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হন। তাঁরা দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কার্যালয়ের প্রধান ফটক ঘিরে রাখেন।

এদিকে আসন ফেরানোর দাবিতে উচ্চ আদালতে দুটি রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। একটি রিট করেছেন বাগেরহাট প্রেসক্লাব ও জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে শেখ মোহাম্মাদ জাকির হোসেন। আরেকটি রিট করা হয়েছে চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে তাঁর আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুলের মাধ্যমে। রিটে বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।

আরও পড়ুনবাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সর্বদলীয় অবস্থান১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা জানিয়েছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গোৎসব উপলক্ষে হরতালের কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও নির্বাচন অফিস ঘেরাও অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন ও আইনি লড়াই চলবে।

কমিটির যুগ্ম–আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম উৎসব দুর্গাপূজা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমরা হরতালের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। আমরা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেছি। দুপুর পর্যন্ত নির্বাচন অফিস ঘেরাও থাকবে। বুধবারও সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত একইভাবে নির্বাচন অফিস ঘেরাও থাকবে।’

জামায়াতে ইসলামীর বাগেরহাট জেলা শাখার সেক্রেটারি ও কমিটির সদস্যসচিব শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, ‘ইতিমধ্যে দুটি রিট হয়েছে। আরও রিটের প্রস্তুতি চলছে। আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করছি।’

আরও পড়ুনবাগেরহাটে ঢিলেঢালা হরতাল, মহাসড়কে স্থানীয় গাড়ি চলায় কমেছে দুর্ভোগ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা গড়ে তোলে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি এবং হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেন।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়। আগের প্রস্তাবের তুলনায় শুধু সীমানা পরিবর্তন করা হয়। এর পর থেকেই সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি আসন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হরতাল, অবরোধ, অবস্থান, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, ইসির আসন পুনর্বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট নিয়ে বাগেরহাট-১; ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা নিয়ে বাগেরহাট-২ এবং কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ গঠিত হয়েছে।

১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। সে অনুযায়ী বাগেরহাট-১ ছিল চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট; বাগেরহাট-২ ছিল বাগেরহাট সদর-কচুয়া; বাগেরহাট-৩ ছিল রামপাল-মোংলা এবং বাগেরহাট-৪ ছিল মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
  • ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল
  • কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরদের কাজ কি শুধু ভাইভা নেওয়া
  • কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস 
  • ভাঙ্গা থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়া প্রশ্নে রুল
  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রাখতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
  • পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা আপাতত বহাল, চলবে না কার্যক্রম
  • চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীতে বিদ্বেষ কেন
  • চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ড: ট্রাম্প কি দাঙ্গা–ফ্যাসাদকেই নীতি হিসেবে নিয়েছেন