Samakal:
2025-08-02@07:14:50 GMT

নীল পাখি

Published: 7th, March 2025 GMT

নীল পাখি

রুমুর বাগানে রোজই কোনো না কোনো ফুল ফোটে। যেদিন থেকে বাগানে ফুল ফোটা শুরু করেছে সেদিন থেকেই এক অদ্ভুত ব্যাপার ঘটছে। একটা নীলরঙের ছোটো পাখি এক গোলাপগাছের ডালে বসে। তবে সারাদিন বসে থাকে না। রুমু যখন খুব ভোরে গাছে পানি দিতে আসে তখনই সে নীল পাখিটার দেখা পায়। রুমু পাখিটার নাম জানে না। রুমুর মাও বলতে পারেনি। তাই রুমু ওর নাম রেখেছে নীল পাখি।
নীল পাখির সাথে রুমুর খুব ভাব। সে গাছে পানি দিতে দিতে পাখির সাথে গল্প করে। তার নাম জিজ্ঞেস করে, তার বাসা কোথায় তাও জিজ্ঞেস করে। পাখিটাও শিস বাজিয়ে রুমুর কথার উত্তর দেয়। কিন্তু রুমু বুঝতে পারে না। শুধু হাসি হাসি মুখে মাথা নাড়ায়।
রুমুর খুব পাখি হতে ইচ্ছে করে। পাখিদের কতো মজা! যেখানে খুশি যেতে পারে। শুধু ডানা মেললেই হলো। রুমু প্রায়ই পাখিকে ছড়া শোনায়–
‘পাখি তুই কই যাস
উড়ে উড়ে উড়ে
মাঠঘাট পথ ছেড়ে
ওই দূরে দূরে.

..।’
আর পাখি রুমুকে শোনায় গান। কী দারুণ বন্ধুত্ব ওদের!
একদিন ভোরে রুমু আর নীল পাখি গল্প করছে। হঠাৎ ঝড় নেমে এলো। সেকি বাতাস!
রুমু তাড়াতাড়ি ঘরে এসো ঝড় নেমে এসেছে। বলতে বলতে মা রুমুকে হাত ধরে ঘরে নিয়ে আসেন।
মা, নীল পাখিটা বাইরে রইল যে। আর আমার গোলাপগাছগুলো কি ভেঙে যাবে? না রুমু, ঝড়ে ছোটো গাছের কোনো ক্ষতি হবে না। আর নীল পাখিকে সৃষ্টিকর্তা সাহায্য করবেন। পৃথিবীর সব প্রাণীকে সৃষ্টিকর্তা বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
ঝড় থেমে যায়। রুমু দৌড়ে বাগানে গিয়ে দেখে, গাছগুলো সব ঠিক আছে। নীল পাখি কোথাও নেই।
সেই রাতে রুমু নীল পাখির জন্য মনে মনে দোয়া করে।
পরদিন ভোরে রুমু বাগানে যায়। দেখে, গোলাপগাছের ডালে নীল পাখিটা হাসি হাসি মুখে বসে আছে। রুমুর মনে পড়ে মায়ের কথা। সৃষ্টিকর্তা বিপদে পৃথিবীর সকল প্রাণীকে সাহায্য করেন। n  

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ