এক ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল সচল
Published: 8th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহের ত্রিশালে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লাগার প্রায় এক ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে রেল যোগাযোগ সচল হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল লাইনের ধলা স্টেশন এলাকায় ট্রেনটির ইঞ্জিনে আগুন লাগে। সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জের দিকে ছেড়ে যায়।
গফরগাঁও রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম কিবরিয়া বলেন, “ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনটি ত্রিশালের ধলা স্টেশন এলাকায় পৌঁছলে ট্রেনটির ইঞ্জিন থেকে আগুন ও প্রচুর ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। চালক, পরিচালক (গার্ড) ট্রেন থেকে নেমে আগুন নেভান। পরে পুড়ে যাওয়া ইঞ্জিনসহ ট্রেনটি বিকল্প ইঞ্জিন দিয়ে আওলিয়া নগর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জের দিকে ছেড়ে যায়।”
আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে
দেড় ঘণ্টা পর জামালপুরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনা গফরগাঁও স্টেশনে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস, আউলিয়ার নগর স্টেশনে ঢাকাগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে যায়। পরে লাইন ক্লিয়ার হলে ট্রেনগুলো গন্তব্যে রওনা দেয়।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ করেছেন যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মিলগেট এলাকায় প্রথমে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে পরে আঞ্চলিক সড়কে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে তাঁদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলা হলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর যমুনা অ্যাপারেলস কারখানায় ২২ এপ্রিল বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগে কারখানার ১১৪ শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী তাঁদের সব পাওনা পরিশোধও করা হয়। শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৬ এপ্রিল কারখানা খুলে দেওয়া হলে সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। এরপর ওই দিন চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এর পর থেকে শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
আজ সকালে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। প্রথমে তাঁরা ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে তাঁরা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শিল্প পুলিশ, থানা–পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের ধাওয়া ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, ১০ দিন আগে কারখানার কোয়ালিটি সেকশনের শ্রমিক মো. হুমায়ুন দুই দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না পেয়ে হুমায়ুন নিজেই অনুপস্থিত থাকেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এবং হুমায়ুনকে মারধর ও গুম করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে হুমায়ুনকে কারখানার নিচতলার গুদামঘরের বাথরুমে আটকে রাখা হয়। চার ঘণ্টা পর হুমায়ুন মুঠোফোনে সহকর্মীদের খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার জেরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করে। শ্রমিক ছাঁটাই, গুমের হুমকি ও বহিরাগতদের দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। এ সময় কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।