মহাসড়কের পাশে হাত-পা বাঁধা মরদেহটি পুরুষ নাকি নারীর, জানেনা পুলিশ
Published: 10th, March 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশের একটি কলাবাগান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মরদেহ অর্ধগলিত হওয়ায় পুরুষ নাকি নারী শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ ছাড়া মরদেহের আংশিক পোড়ানো বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রবিবার (৯ মার্স) সন্ধ্যায় শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া এলাকা থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, এক পথচারী সেখানে কলাগাছের গোড়ায় কিছু একটা পড়ে আছে দেখতে পান। এগিয়ে দেখেন অর্ধগলিত ও আংশিক পোড়া একটি মরদেহ। এরপর তিনি আশপাশের অন্যদের ঘটনাটি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার পণ্ডিত বলেন, “নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিনি নারী নাকি পুরুষ, তা-ও বোঝা যাচ্ছে না। তার শরীরের কিছু অংশ কালো দেখা যাচ্ছে। তবে এটি আগুনে পোড়া কি না, তাও নিশ্চিত নয়।”
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কুমার কর বলেন, “অজ্ঞাতনামা একজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিন আগে দুর্বৃত্তরা তাকে খুন করে মহাসড়কের পাশে ফেলে গেছে।”
ঢাকা/রফিক/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় করোনায় আক্রান্ত ৪
কুমিল্লায় চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এখনই সতর্ক না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ বলেন, “গত দুইদিনে তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ শনিবার আরো একজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।”
তিনি বলেন, “আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কুমিল্লা নগরের, কেউ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। সবার নমুনা কুমিল্লা নগরের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করা হয়েছিল।”
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে আরো ১ জনের করোনা শনাক্ত
কিট সংকটে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা বন্ধ
ডা. বশির আহমেদ বলেন, “আক্রান্তদের মধ্যে একজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। দুইজন ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। একজনের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
করোনার প্রথম ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর বেশ কিছুদিন কুমিল্লায় নতুন করে সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। ফলে অনেকটাই স্বস্তিতে ছিলেন নগরবাসী। হঠাৎ একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় জনমনে আবারো আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই মাস্ক পরছেন এবং সাবধানতা অবলম্বনের চেষ্টা করছেন। তবে, গণপরিবহন, বাজার কিংবা ওষুধের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন প্রবণতা দেখা যায়নি।
কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা আমেনা আক্তার বলেন, “আবার যেন সেই দিনগুলো ফিরে আসছে। দোকান-বাজারে মাস্ক ছাড়া মানুষ চলাফেরা করছে। আমরা তো আরেক দফা লকডাউনের ভয়ে আছি।”
সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ানোর পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরির জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে প্রচার অভিযান চালানো হবে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডাক্তার সানজিদুর রহমান বলেন , “করোনা পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। হঠাৎ সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনা অবহেলার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে অবস্থা জটিল হতে পারে।”
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কুশ বড়ুয়া বলেন, “করোনার বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে প্রয়োজনে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ