পাবনার সাঁথিয়ায় বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে নিকবার হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক আহত হয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে পৌরসভা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি তাজা ককটেল ও পাঁচটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, আফড়া গ্রামের মুসা সরদার নামের এক ব্যক্তি রাত ১০টার দিকে গুরুতর আহত নিকবারকে সেখানে আনেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ওই সময়ই পাবনা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। নিকবার সদর হাসপাতালে যাননি। ঘটনার পর থেকে আহত নিকবার পলাতক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ১০টার দিকে শশদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান এলাকাবাসী। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন বিদ্যালয়ের নিচে ছয়টি লালটেপ প্যাঁচানো ককটেল এবং পাঁচটি কাঁচের বোতলে পেট্রোল বোমা পড়ে আছে। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা রাজা হোসেন এবং হেলাল উদ্দিন বলেন, রাত ১০টার দিকে আমরা হঠাৎ তিনবার বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেল ও পেট্রোল বোমা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেই।

এ ঘটনায় সোমবার পাবনার পুলিশ সুপার মর্তুজা আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেড়া সার্কেল) আবুল কালাম আজাদ, সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ওসি সাইদুর রহমান জানান, বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কেন বোমা তৈরি করা হয়েছিল, তদন্তের পর বলা যাবে। রহস্য উদ্ঘাটন ও আহত যুবককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন র ত ১০ট র দ ক ককট ল ও প

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ