Samakal:
2025-06-16@08:56:42 GMT

চোখের পাতা নেড়েছে সেই শিশুটি

Published: 11th, March 2025 GMT

চোখের পাতা নেড়েছে সেই শিশুটি

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটির শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। চোখের পাতা নেড়েছে সে। প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। 
এদিকে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মাগুরার আদালতে রোববার রাতে চার আসামির রিমান্ড শুনানি হয়েছে। শিশুটির বোনের শ্বশুর মূল অভিযুক্ত হিটু শেখের সাত দিন, শাশুড়ি, স্বামী ও ভাশুরের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মতিন এ আদেশ দেন। গতকালও মাগুরা আদালত চত্বর ও শহরে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত কার্যদিবসের মধ্যে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে তারা। এ ছাড়া ধর্ষকদের পক্ষে কোনো আইনি সহায়তা দেবে না বলে জানিয়েছে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতি। 
শিশুটি এখন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) প্যাডিয়াট্রিক আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। প্রতিদিন তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা চলছে।

শিশুটির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আজাদ মজুমদার বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষাবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.

) আব্দুল হাফিজ শিশুটির বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। সোমবারও তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে। তবে শ্বাসরোধের কারণে তার মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল। মস্তিষ্কে পানি জমে গিয়েছিল, যেটা অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তার বুকের মধ্যে যে বাতাস জমে ছিল, সেটা দূর করা গেছে। চিকিৎসকরা আশাবাদী দু-এক দিনের মধ্যে শিশুটির অবস্থার আরও উন্নতি হবে।
এদিকে গতকাল জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে রোববার মাগুরা আদালত চত্বরের সামনে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। আদালত চত্বরের সামনে অবরোধ করে রাখায় নিরাপত্তা শঙ্কায় দিনে আদালতে আসামি হাজির করেনি পুলিশ। ফলে রাত সাড়ে ১১টার পর চার আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। রাতেই আদালত রিমান্ড শুনানি করেন। 
মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলাউদ্দিন জানান, মূল অভিযুক্ত হিটু শেখকে সাত দিন এবং তার স্ত্রী জাবেদা বেগম, দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেননি। 

মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব হোসেন সমকালকে বলেন, সোমবারও শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। এ অবস্থায় আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়নি। তারা কারাগারে আছে। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনা করছেন।  
শিশু ধর্ষণে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে গতকালও প্রায় দিনভর আদালত চত্বরসহ মাগুরার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ছাত্র-জনতা। তারা ধর্ষকদের সাত দিনের মধ্যে ফাঁসির দাবি জানায়। 
সকাল ১০টায় জেলা জজ আদালতের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতি। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রুকনুজ্জামান ও নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মুকুল। বক্তারা এই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তারা বলেন, আইনজীবীরা ধর্ষকদের পক্ষে কোনো আইনি সহযোগিতা দেবেন না। বরং আসামিদের বিপক্ষে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। 
মাগুরা শহরতলির নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৫ মার্চ রাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে শিশুটি। পরদিন সকাল থেকেই সে অচেতন। 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ক ষ ভ কর ছ ত র জনত আইনজ ব গতক ল অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ মূলত আইনজীবীদের পেশাজীবনের অনুসরণীয় বিধিমালা। এ আইন থেকে আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় দুটি প্রশ্ন আসবে। উত্তর দিতে হবে একটি। নম্বর থাকবে ১০।

প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আইনটি কেমন হতে পারে। মূলত বার কাউন্সিলের গঠন, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি, মক্কেলের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। বাস্তবধর্মী ও পেশাজীবনে অতি চর্চিত একটি আইন হলো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২। এ আইন থেকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।

যেমন বার কাউন্সিল কীভাবে গঠিত হয়, বার কাউন্সিলের কার্যবালি কী, সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন, কতগুলো কমিটি রয়েছে, কমিটির কাজ কী কী—এগুলো পড়তে হবে। অনেকেই আছে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি ভালো করে রপ্ত করতে হবে। এমন প্রশ্ন হরহামেশা পরীক্ষায় আসে।

এ ছাড়া বার ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যাবলি, আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের জন্য কী কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, বার কাউন্সিল কি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে—বিষয়গুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। অনুচ্ছেদ ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩২ এবং বিধি ৪১, ৪১ক ও ৫০–এ এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেগুলো ভালো করে পড়তে হবে। অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, একজন আইনজীবী হিসেবে আরেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর জানতে হবে। এসব বিষয় থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে।

পেশাগত বিধি অংশে রচনামূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন পেশাগত বিধি এবং নীতিমালার আলোকে আদালতের প্রতি, মক্কেলের প্রতিসহ আইনজীবীদের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করতে বলা হয়। বর্তমান ঢাকা বারসহ বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোশিয়েশনে এডহক কমিটি রয়েছে। এডহক বার কাউন্সিলের গঠন ও ফাংশনস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। এগুলো ভালো করে পড়তে হবে।

অনেক সময়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরসংক্রান্ত মুসাবিদা করতে দেওয়া হয়। তাই এই মুসাবিদা নিয়মিত অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন, মামলার মুসাবিদা ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মুসাবিদার ধরন কিন্তু এক নয়। তাই যেকোনো ভালো একটি বই থেকে ফরমেটটি দেখে নেবেন এবং অনুশীলন করবেন। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এ আইন থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন রিপিটও হয়।

একটি বিষয় মনে রাখবেন, আইনটি সহজ বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ, কৃতকার্য হওয়ার জন্য এই ১০ নম্বর অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
  • জামিন দেওয়াকে কেন্দ্র করে আদালতে হাতাহাতি, স্টেনোগ্রাফার আহত
  • বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন
  • দণ্ডাদেশ বহালের রায়ের বিরুদ্ধে ১০ আসামির আপিল ও লিভ টু আপিল
  • যে ‘ধর্মীয় অনুপ্রেরণায়’ ইরানে এই হামলা চালাল ইসরায়েল
  • দক্ষিণ ভারতের নিষ্পেষিত মুসলিম নারীদের কণ্ঠস্বর