সারাক্ষণ ভয়ে থাকার কারণ জানালেন আদা শর্মা
Published: 11th, March 2025 GMT
নির্মাতা সুদীপ্ত সেনের সিনেমা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ রাতারাতি ভাগ্য বদলে দিয়েছে আদা শর্মার। মাত্র ৯ দিনে সিনেমাটি ১১২.৯৯ কোটি টাকা আয় করেছিল। সেই আদা নাকি সারাক্ষণ ভয়ে কুঁকড়ে থাকেন, আর যদি কাজ না পান!
এই আতঙ্কেই নাকি প্রতিটি সিনেমার কাজ শেষ হওয়ার পর তাঁর মনে হতে থাকে, এটিই তাঁর শেষ সিনেমা। তাঁর ভাগ্যে অভিনয়ের সুযোগ মিলবে না।
সম্প্রতি এক খোলামেলা সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী নারী দিবস থেকে তাঁর জীবনের সব কিছু নিয়ে অন্তরঙ্গ কথা বলেছেন। তখনই তিনি বলেছেন, “অভিনেতাত্রীদের জীবন এমনিতেই অনিশ্চিত। আমি আরও বেশি অনিশ্চয়তায় ভুগি। একটা সিনেমা শেষ হয়। আমার মনে হয়, আর আমাকে কেউ ডাকবেন না। আমি আর সিনেমার কাজ পাব না। এটিই আমার শেষ সিনেমা।”
যদিও তাঁর সঙ্গে এখনও পর্যন্ত এমন কিছু ঘটেনি। তিনি একের পর এক কাজ করছেন। তিনি সিনেমায় আর কাজ পাবেন কিনা, এই দুশ্চিন্তার পাশাপাশি দর্শক কী ভাবছেন তাঁর অভিনয় নিয়ে কিংবা দর্শকরা তাঁকে আদৌ পছন্দ করেন কিনা তাই নিয়েও আদা যথেষ্ট সচেতন। সে কথাও তিনি গোপন রাখেননি।
জানিয়েছেন, ছোট ছোট স্বপ্ন দেখে বড় তিনি হয়েছেন। ফলে, সেগুলো পূরণ হতেই তিনি খুশি। কিন্তু সিনেমা মুক্তির পর দেখেছেন, দর্শকরা তাঁকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেন!
সিনেমা মুক্তির পর অনেকে সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, এই চরিত্রটি আদার জন্য নয়। অমুক চরিত্রে তারা আদাকে দেখতে চেয়েছিলেন। অনুরাগীদের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষাও এক সময় তাঁকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়, এমনটাই মত তাঁর।
আদার কথায়, ‘আমি যদি দর্শক-অনুরাগীদের চাহিদা পূরণ করতে না পারি, তা হলে তারা আমায় দেখবেন কেন?’ এই সময় শাহরুখ খানের ‘ওম শান্তি ওম’ ছবির কথা মনে পড়ে তাঁর। মনে হয়, এক জন্মে তিনি বোধহয় সব পূরণ করতে পারবেন না। তাঁকে হয়তো আবার জন্ম নিতে হবে!
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ২-৫ টাকা কমেছে
বাজারে সরু তথা মিনিকেট চালের দাম কিছুটা কমেছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে মোটা ও সরু নাজিরশাইল চালের দাম আগের মতোই রয়েছে। এ ছাড়া বাজারে আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও মুরগি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে খুচরা দোকানে ডায়মন্ড, মঞ্জুর, সাগর, রশিদ প্রভৃতি ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গত সপ্তাহে মঞ্জুর ও সাগর ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল, যা আজ বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকায়। একইভাবে ডায়মন্ড ব্র্যান্ডের মিনিকেটের দাম ৮৮ টাকা থেকে কমে ৮৫ টাকা ও রশিদ ব্র্যান্ডের মিনিকেটের দাম ৭৮ টাকা থেকে কমে ৭৬ টাকা হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি কমেছে মোজাম্মেল মিনিকেট চালের দাম। এই চালের দামই এত দিন সবচেয়ে বেশি ছিল। গত সপ্তাহেও খুচরায় মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ বাজারে সেটি বিক্রি হয় ৯২ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে ৮ টাকা কমেছে এই মিনিকেট চালের দাম।
তবে নাজিরশাইল, ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ ও স্বর্ণা চালের দাম আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৮০ থেকে ৯৫ টাকা, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৬০ টাকা এবং স্বর্ণা চাল ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের খুচরা চাল বিক্রেতা তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এখন বোরো ধানের মৌসুম চলছে। অর্থাৎ বোরো ধান থেকে যে চাল হয়, সেটি বাজারে এসেছে। সাধারণত মিনিকেট হিসেবে পরিচিত ছাঁটাই করা চালগুলো এ ধান থেকেই আসে। ফলে বাজারে নতুন মিনিকেট চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও কমেছে।
চড়া পেঁয়াজ, মুরগির দাম
বাজারে এখন মূলত দেশি পেঁয়াজই বেশি বিক্রি হয়। এই পেঁয়াজের দাম তিন সপ্তাহ ধরে বাড়তি রয়েছে। বর্তমানে ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। পাড়া-মহল্লায় এ দাম আরেকটু বেশি। গত এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি এবং ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। আজ বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা ও সোনালির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দামও আগের মতোই বেশি রয়েছে। আজ এই মানের এক ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে সবজি কিনছেন দুই ক্রেতা