ইউরিক অ্যাসিড কমাতে উপকারী যেসব ড্রাই ফ্রুটস
Published: 11th, March 2025 GMT
অনেকেরই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আছে। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে গেঁটে বাত, জয়েন্টে ব্যথা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ওষুধের পাশাপাশি সুষম খাবার জরুরি। তবে কিছু ড্রাই ফ্রুটস আছে যেগুলো প্রাকৃতিকভাবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেমন-
বাদাম
বাদামে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এগুলো বিপাক প্রক্রিয়াকে ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। এতে পিউরিনের পরিমাণ কম থাকায় এটি উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে। বাদামে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য গেঁটে বাত সম্পর্কিত জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সহায়ক।
আখরোট
ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ আখরোট প্রদাহ কমাতে এবং কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে। কিডনি ইউরিক অ্যাসিড অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে খাদ্যতালিকায় আখরোট যোগ করলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কিশমিশ
কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এর পাশাপাশি জয়েন্টগুলোতে ইউরিক অ্যাসিডের স্ফটিক হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
পেস্তা
পেস্তাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার থাকায় এটি হজম এবং কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায়। এর ফলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে। পেস্তায় পিউরিনের পরিমাণ কম। এ কারণে যারা প্রাকৃতিকভাবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তারা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এটি রাখতে পারেন।
কাজুবাদাম
কাজুবাদাম কম পিউরিনযুক্ত শুকনো ফল। এতে ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। এসব পুষ্টি উপাদান কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দূর হয়।
খাবার তালিকায় ড্রাই ফ্রুটস যোগ করবেন যেভাবে
প্রতিদিন একমুঠো শুকনো ফল খেতে পারেন।
পুষ্টির শোষণ বাড়ানোর জন্য বাদাম ও কিসমিস সারারাত ভিজিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।
সালাদ বা স্মুদিতে আখরোট ও পেস্তা যোগ করুন।
অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ এড়াতে পরিমিত পরিমাণে কাজুবাদাম খান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউর ক অ য স ড র ম ত র স হ য য কর র পর ম ণ
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে সীমান্ত এলাকা থেকে যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বাড়ি থেকে রাজু ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা গেছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা। তবে ওই সীমান্তে বিএসএফের গুলির কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় সদর থানা-পুলিশ। নিহত রাজু ইসলামের বাড়ি সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা ঝুলিপাড়া এলাকায়। তিনি বিবাহিত এবং তাঁর তিন ছেলেমেয়ে আছে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, রাজু গতকাল শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলেন। এরপর তিনি কখন বাইরে গেছেন, স্বজনদের কেউ জানেন না। রাত তিনটার দিকে তাঁকে কে বা কারা বাড়ির বাইরে আহত অবস্থায় ফেলে যায়। এ সময় তাঁর চিৎকারে স্বজনেরা ঘুম থেকে উঠে আহত অবস্থায় তাঁকে দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে দেবীগঞ্জ উপজেলার কাছাকাছি গেলে তিনি মারা যান। পরে লাশ বাড়িতে আনা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, প্রথম দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রাজু স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) করে মারা গেছেন। পরে তিনি গিয়ে দেখেন, তাঁর দুটি পায়ের হাঁটু ও আশপাশে গুলির চিহ্ন। ভারত সীমান্তে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে তিনি মারা গেছেন বলে তাঁরা ধারণা করছেন। কারণ, তাঁর পায়ে স্পষ্ট গুলির চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, সকালে বিষয়টি জানাজানির পর বাড়িতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে ওই এলাকায় বিজিবির দুটি টহল দল দায়িত্বরত ছিল। তখন সীমান্তে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিএসএফও গুলি করেনি বলে জানিয়েছে। এমনকি পরিবার থেকে প্রথম দিকে তাঁদের জানানো হয়, তিনি হৃদ্রোগে মারা গেছেন। তবে তিনি যে আহত হয়েছেন, সেটা সীমান্ত এলাকায় হয়েছেন নাকি বাংলাদেশের ভেতরে হয়েছেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শইমী ইমতিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের দুই পায়ে গুলির চিহ্ন আছে, সেটি তাঁরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে গুলি কারা করেছে বা কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, সেটা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।