জার্মানির ক্লাব বায়ার লেভারকুজেন সবশেষ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল ২০০১-২০০২ মৌসুমে। সেবার তারা ফাইনালেও পৌঁছেছিল। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল।

এরপর গেল ২৩ বছরে আর তারা শেষ ষোলোর গণ্ডি পেরুতে পারেনি। এবার অবশ্য সুযোগ এসেছে তাদের সামনে আরও একবার শেষ আটে পৌঁছানোর। কিন্তু স্বদেশি শক্তিশালী ক্লাব বায়ার্নের সঙ্গে প্রথম লেগে খেলে তারা পিছিয়ে আছে ৩-০ ব্যবধানে। আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ, ২০২৫) দিবাগত রাত ২টায় ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে তারা বাভারিয়ানদের আতিথ্য দিবে। এই ম্যাচে কমপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে জিততে হবে জাবি আলোনসোর শিষ্যদের।

কাজটা অবশ্য কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। সেই কঠিন কাজটা যদি সত্যি সত্যি লেভারকুজেন করে ফেলতে পারে তাহলে ২৩ বছর পর আরও একবার তারা কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখাতে পারবে।

আরো পড়ুন:

বুড়ো হওয়ার পর ৪৬৪ গোল হলে, বুড়ো হওয়াটাই ভালো!

শীর্ষে উঠার সুযোগ হারাল অ্যাতলেটিকো

অবশ্য ঘরের মাঠের ম্যাচ হলেও লেভারকুজেনের জন্য দুঃসংবাদ হলো, তাদের তারকা মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান উইর্টজ লিগামেন্ট ইনজুরির কারণে কয়েক সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে রয়েছেন। এছাড়া, ডিফেন্ডার নর্দি মোকিয়েলে নিষেধাজ্ঞার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না।  

এদিকে বায়ার্ন মিউনিখও কিছু ইনজুরির সমস্যায় ভুগছে। বিশেষ করে তাদের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার পায়ের পেশির চোটের কারণে খেলতে পারবেন না এই ম্যাচে। তার অনুপস্থিতিতে জোনাস উরবিগ গোলপোস্ট সামলাতে পারেন।  

বায়ার্নের মিডফিল্ডার লিয়ন গোরেৎসকা জানিয়েছেন, প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও দলকে পুরোপুরি মনোযোগী থাকতে হবে। কারণ, লেভারকুজেন ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে।

অন্যদিকে, লেভারকুজেনের ডিফেন্ডার জনাথন টাহ দলকে অনুপ্রাণিত করতে ১৯৮৮ সালের ঐতিহাসিক ইউরোপা কাপ স্মরণ করছেন, যেখানে তারা এস্পানিওলের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ঘাটতি পুষিয়ে শিরোপা জিতেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, এবারও তারা অঘটন ঘটাতে পারে।

কোচ জাবি আলোনসোর অধীনে লেভারকুজেন নিজেদের মাঠে দুর্দান্ত খেলছে এবং তারা বায়ার্নের বিপক্ষে শেষ তিনটি হোম ম্যাচে অপরাজিত (২ জয়, ১ ড্র)। তবে, উইর্টজ ও মোকিয়েলের অনুপস্থিতি তাদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।

অন্যদিকে, বায়ার্ন মিউনিখ তাদের ৩৫তম চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে এবং প্রথম লেগের সুবিধা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে।

সম্ভাব্য একাদশ:

বায়ার লেভারকুজেন (৪-২-৩-১): হরাডেস্কি, ফ্রিমপং, টাহ, টাপসোবা, গ্রিমালদো, পালাসিওস, জাকা, আদলি, হফমান, টেলা ও বোনিফেস।

বায়ার্ন মিউনিখ (৪-২-৩-১): উরবিগ, স্টানিসিচ, উপামেকানো, কিম, গুয়েরেইরো, গোরেৎসকা, কিমিখ, ওলিস, মুসিয়ালা, কোমান ও কেইন।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ ব যবধ ন ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ