সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা (তালিকা)
Published: 11th, March 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন মিজান নামের একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি একেএম শামীম ওসমানসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক সিদ্ধিরগঞ্জয় থানায় মামলা রুজু হয় বলে নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম।
মামলার আসামীরা হলো-১। শামীম ওসমান (এমপি) নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন, পিতা-মৃত সামসুজ্জোহা, সাং-১৯৯ নবাব সলিমুল্লাহ রোড, পূর্ব চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ। ২। অয়ন ওসমান, পিতা- শামীম ওসমান, সাং- ১৯৯ নবাব সলিমুল্লাহ রোড, পূর্ব চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ। ৩। আজমেরী ওসমান (৪৫), পিতা- মৃতঃ নাছিম ওসমান, সাং- ১৯ নবাব সলিমুল্লাহ রোড, পূর্ব চাষাড়া, নারায়নগঞ্জ। ৪। গোলাম দস্তগীর গাজী, এমপি, নারায়ণগঞ্জ-১ আসন, পিতা- অজ্ঞাত, সাং- তারাব, ৫। গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, সহ-সভাপতি, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ, পিতা- অজ্ঞাত,
৬। আওলাদ হোসেন বাদল, সভাপতি- তারাব পৌরসভা ছাত্রলীগ, পিতা- অজ্ঞাত, সাং-তারাব, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ৭। মনির খান সুমেল, সাধারণ সম্পাদক- তারাব পৌরসভা ছাত্রলীগ, পিতা- অজ্ঞাত, সাং-রূপসী, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ৮। মহাসিন ভূইয়া, সাবেক সহ-সভাপতি- তারাব পৌরসভা যুবলীগ, পিতা-মৃত রফিজ উদ্দিন ভূইয়া, সাং- যাত্রামুড়া, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ৯। মোঃ মাহমুদুল হাসান সিয়াম (৩৫), তারাব পৌর যুবলীগ, পিতা- মাহবুবুর রহমান খান, সাং- যাত্রামুড়া, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ১০। আব্দুল্লাহ খান (৩৩), তারাব পৌর যুবলীগ, পিতা- হাজী আব্দুল দাইয়ান খান, সাং-যাত্রামুড়া, থানা- রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। জেলা- ১১। মাহবুবুর রহমান মেহের (৫০), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ, পিতা- অজ্ঞাত, সাং- তারাব, থানা- রূপগঞ্জ, ১২। রাব্বি (৩১), তারাব পৌর যুবলীগ, পিতা-মোজাম্মেল হোসেন মুজা, সাং- যাত্রামুড়া, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ১৩। রায়হান কবীর সুমন (৪০), পিতা- জাহাঙ্গীর কবির ভূঁইয়া, সাং- খাদুন, তারাব পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ১৪। মোঃ রাকিব মিয়া, পিতা- দুলাল মিয়া, সাং-মৈকুলি, তারাব পৌরসবার ৫ নং ওয়ার্ড, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ১৫। আল আমিন (২৪), পিতা- কাসেম ড্রাইভার, সহ-সভাপতি, ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ তারাব পৌরসভা, সাং- যাত্রামুড়া, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ১৬। তৌহিদুল ইসলাম (৩৮), পিতা-মৃত আঃ লতিফ খান, সাং- তারাব দক্ষিনপাড়া, থানা-রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ১৭। ফয়সাল কানন (২৭), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তারাব পৌরসভা ছাত্রলীগ, সাং-নোয়াপাড়া, ৭নং ওয়ার্ড, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ১৮। ফাহিম ভূইয়া, ১৯। নাইম ভূইয়া, উভয় পিতা- ইসমাইল ভূইয়া, উভয় সাং- কর্ণগোপ, তারাব পৌরসভা, থানা-রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ২০। কাসেম ভূইয়া, ২১। রিফাত ভূইয়া, উভয় পিতা- মানিক ভূইয়া, সাং- কর্ণগোপ, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২২। মহিউদ্দিন (৪৫), আওয়ামীলীগ নেতা, পিতা-মৃত মালেক, সাং- বটতলা, বারপাড়া, থানা- বন্দর, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ২৩। আমজাদ হোসেন (৩৫), যুবলীগ নেতা, পিতা-মৃত ফজলুল হক, সাং- হালুয়াপাড়া, থানা- বন্দর, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ২৪ । মোঃ শাহজালাল (৪০), স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা, পিতা- হাজী তোফাজ্জল, সাং-কাঁচপুর নয়াবাড়ী, থানা- সোনারগাঁ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৫। সানজিদ হাসান (২৭), ছাত্রলীগ নেতা, পিতা- মোঃ শরীফ হোসেন, সাং- কাঁচপুর, নয়াবাড়ী, থানা- সোনারগাঁ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৬। বিপ্লব (২৯), যুবলীগ নেতা, পিতা- মোঃ মনির হোসেন, সাং- কাঁচপুর নয়াবাড়ী, থানা-সোনারগাঁ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ২৭। রাজীব (২৮), পিতা- তালেব, সাং- কাঁচপুর নয়াবাড়ী, থানা- সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ। জেলা- ২৮। আমান মেম্বার (৪৫), যুবলীগ নেতা, পিতা-সালাম মেম্বার, সাং- পূর্ব বেহাকৈর, কাঁচপুর, থানা- সোনারগাঁ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ২৯। মোমেন ওরফে টাইগার মোমেন (৪০), যুবলীগ নেতা, ৩০। সুমন ওরফে ডাকাত সুমন (৩৫), উভয় পিতা- আমির হোসেন, উভয় সাং- সোনাপুর, কাঁচপুর, নারায়ণগঞ্জ। থানা-সোনারগাঁ, জেলা- ৩১। লাদেন (২৩), ছাত্রলীগ নেতা, পিতা- আমান মেম্বার, সাং- পূর্ব বেহাকৈর, কাঁচপুর, থানা-সোনারগাঁ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ৩২। সুমন (৩৪), যুবলীগ নেতা, পিতা- সালাম মেম্বার, সাং- পূর্ব বেহাকৈর, কাঁচপুর, থানা-সোনারগাঁ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ৩৩। বাপ্পি (২৫), ছাত্রলীগ নেতা, পিতা- অজ্ঞাত, মাতা- জোহরা মেম্বারনী, সাং- পূর্ব বেহাকৈর, কাঁচপুর, নারায়ণগঞ্জ। থানা- সোনারগাঁ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ ৩৪। জাহিদ হাসান (২৬), সভাপতি- সোনারগাঁ কলেজ ছাত্রলীগ, ৩৫। মেহেদী হাসান (২২), সোনারগাঁ কলেজ ছাত্রলীগ, উভয় পিতা- জাকির হোসেন, উভয় সাং- দমদমা, থানা- সোনারগাঁ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩৬। মাহিনুর রহমান (২৬), সাংগঠনিক সম্পাদক- সোনারগাঁও কলেজ ছাত্রলীগ, পিতা- সৈয়দ হোসেন, সাং- দমদমা, থানা-সোনারগাঁও, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ৩৭। ইলিয়াস (৪০), যুবলীগ নেতা, পিতা-মৃত আবুল হোসেন, সাং- বরপা, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ৩৮। ফিরোজ ভূইয়া, কার্যকরী সদস্য- রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ, পিতা- অজ্ঞাত, সাং- রূপসী, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩৯। আসাদুর জামান চৌধুরী (৪৭), যুবলীগ নেতা, পিতা- ফোরাক আহমেদ চৌধুরী, স্থায়ী ঠিকানা- সোনাপুর, ছাগলনাইয়া, ফেনী, এ/পি- বাসা নং- ৬৪/২ গুলবাগ, শাহজাহানপুর, ডিএমপি, ঢাকা। ৪০। সেকান্দার (৩৮), যুবলীগ নেতা, পিতা-মোজাম্মেল হক মুজা, সাং- তারাব, থানা-রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ৪১ । মোক্তার হোসেন (৪২), যুবলীগ নেতা, পিতা-মৃত আব্দুল হালিম, সাং- পশ্চিম দেওভোগ, বড় আম বাগানের পাশে, কাশিপুর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ৪২। মশিউর রহমান মিঠু (৩৫), যুবলীগ নেতা, পিতা-মৃত শাহজাহান কন্ট্রাক্টর, সাং- পশ্চিম দেওভোগ, বড় আম বাগানের পাশে, কাশিপুর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ৪৩। শামীম ভূইয়া (৪৫), যুবলীগ নেতা, পিতা-মৃত সিরাজ উদ্দিন ভূইয়া, সাং- যাত্রামুড়া, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। ৪৪ । তানভীর (৩০), পিতা- তবারক হোসেন, সাং- বরপা, তিনগ্রাম, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ এবং অজ্ঞাতনামা ২০০/৩০০
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগ মুহূর্তে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাংরোডে শিমরাইল মোড় অংশে ছাত্র-জনতা সড়কে অবস্থান নেয়। ওই সময় মামলার প্রধান আসামি শামীম ওসমানসহ প্রথম ১০ জন আসামি আন্দোলন দমাতে গুলিবর্ষণের নির্দেশ দেন।
পরে ১১ থেকে ৪৩ নম্বর আসামিরা একত্রিত হয়ে আন্দোলনরত মানুষের ওপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করেন।
ওইসময় ঘটনাস্থলে থাকা মিজানের পায়ে গুলি লাগে। পরে বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যান। ৬ আগস্টে ভিকটিমকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবসা করা হয়।
এরপর ৮ আগস্ট থেকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আসছেন তিনি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ শ ম ম ওসম ন ন র য়ণগঞ জ ত র ব প রসভ শ ম ম ওসম ন ন র য়ণগঞ জ য বল গ ন ত আওয় ম ল গ উভয় প ত র পগঞ জ র রহম ন স ন রগ নয় ব ড়
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যানজট। এ যানজটের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা পেরুতে সময় লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।
নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ কিংবা সিটি কর্পোরেশন এ যানজট থেকে জেলাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে দিন যতই বড়ছে ততই বাড়ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগ।
নারায়ণগঞ্জে এমন কোন সড়ক নাই সেই সড়কে যানজট নাই। মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি সব জায়গায়ই যানজট আর যানজট। তবে এ যানজটের পেছনে মূল সড়কের যানজটকেই দায়ি করছেন অনেকে।
তারা বলছেন, মূল সড়ক যদি যানজট মুক্ত থাকতো তাহলে এর আশেপাশের সড়কগুলো যানজটের সুষ্টি হতো না। মূল সড়কে তীব্র যানজটের কারণেই এর প্রভাব পড়ছে অন্য সড়কগুলোতেও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে শহরের চাইতে চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলের কথা শুনলেই মানুষ আতকে উঠে। কারণ, যানজটের মাত্র পনেরো মিনিটের রাস্তা পাড় হতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা।
এ রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীকেও যানজটে আটতে থাকতে দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। একবার যানজটে আটকা পড়লেই দিন শেষ। কখন বাড়ী কিংবা অফিসে যাবেন তার কোন ঠিক নেই।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, এ যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। ফ্লাইওভারের কর্মযজ্ঞের ফলে যানবাহনগুলোকে একটু ধীর গতিতে যেতে হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
তবে এ যানজটের আরও একটি বড় কারণ চোঁখে পড়ে, আর তা হলো পঞ্চবটি এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে এবং চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশে ট্রাক ও কভার্ডভ্যানগুলো অবৈধভাবে পাকিং করে রাখা।
এসব যানবাহনগুলো সড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখার কারণে মূল সড়ক অনেকটাই সরো হয়ে যায়। ফলে এ সড়ক দিয়ে অন্যসব যানবাহনগুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অথচ, পঞ্চবটির খুব কাছেই রয়েছে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড। যানবাহনের চালকরা ওই স্ট্যান্ডে গাড়ী না রেখে সড়কের পাশে অবৈধভাবে বাঁকাত্যাঁড়া গাড়ীগুলো রাখছেন। এর ফলে যে, ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজটের কবলে পড়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, এ বিষয়ে যেন তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
তাদের ভাব-নমুনা দেখা মনে হয় যে, তারাই যেন এ সড়কটির মূল মালিক। না পুলিশে তাদের কিছু বলে, না তারা জনগণের কোন কথা শোনে। তারা তাদের ইচ্ছেমত গাড়ীগুলো রেখে যানজটের সৃষ্টি করছেন।
চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে চলাচল করা ভুক্তভোগী পথচারিরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাটা বর্তমানে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এত ভয়াবহ যানজট আমরা কখনোই চোঁখে দেখিনি। পঞ্চবটি ফ্লাইওভারের নিচে যেভাবে ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো রাখা হয় পুরো সড়কটা তারা কিনে নিয়েছে। পুলিশও কিছু বলে না।
এছাড়া চাষাঢ়া থকে পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়কে দু’পাশেই তারা গাড়ীগুলো রাখছেন। রাস্তাটি পাশে এমনিতেই জায়গা কম, আবার যদি তারা এভাবে গাড়ী রাখেন তাহলে যানজটের সৃষ্টিতো হবেই। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল বলেন, আসলে নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে পঞ্চবটি এলাকাতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তোলেন এবং সেখানে এ স্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
এখন তারা কিছু গাড়ী ওই স্ট্যান্ডে রাখে বাকি গাড়ীগুলো সড়ক দখল করে এলোপাথারিভাবে রাখে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও যেন কারো কোন কিছু বলার নেই। কারণ, এ সমস্যা নিয়ে বহুবার ডিসি-এসপির সাথে বসা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে কিন্তু সুরাহা হয় নাই।
তবে, ৫ আগস্টে দেশে একটি বড় পরিবর্তনের পর আশা করছিলাম এবার হয়তো এর একটা সুরাহা হবে। কিন্তু না। সড়ক দখল করে রাখা ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়েই যানজটের মত দুর্ভোগ দুর্দশাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।
তারা বলেন, আসলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেদিন ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এতবড় একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু দেশের মানুষ যদি সেই শান্তি শৃঙ্খলা ভোগই করতে না পারে, তাহলে এত প্রাণ দিয়ে কি লাভ হলো?
আমরা জানিন না, প্রশাসন আসলে কাদেরকে খুশি করাতে চাচ্ছেন? মুষ্টিম কিছু চালকদের জন্য হাজার হাজার মানুষের এ কষ্ট কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করবো, তারা যেন খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যেন কিছুটা স্বস্তি দেয়।
এ বিষয়ে টিআই করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে যানজটের যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছিলো বর্তমানে তা কমে আসছে। আশাকরছি, আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। পঞ্চবটি সড়কে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য এ রুটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এমতাবস্তায় যদি কোন চালক রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।