দেশে যেন ধর্ষণের মহামারি লেগেছে। পত্রিকার পাতা ওল্টালেই ধর্ষণের খবর চোখে পড়ছে। সোমবার প্রকাশিত সমকালের খবর– দেশে ২০২৪ সালে ৫১৬ কন্যাশিশু ও নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আর ২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসেই (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) ৯৭ কন্যাশিশু ও নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ বিষয়ে যেসব তথ্য এসেছে, তা গা শিউরে ওঠার মতো। মাগুরার ৮ বছরের শিশু তার বাবার বয়সী এক নরপশুর ধর্ষণের শিকার হয়ে এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। ধর্ষণের শিকার ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ৪ বছরের শিশুটি জেলা হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে এখনও ব্যথায় কাতর। ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর গ্রামের সাড়ে ৪ বছরের শিশুটিও জেলা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। এক নরাধম তাকে সাইকেলে চড়ানোর কথা বলে পাশের এক মেহগনি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাজধানীর রামপুরায় এক বাবা ধর্ষণ করেছে তার নিজের ঔরসজাত কন্যাকে। এমন আরও কত! গাজীপুরের মাওনা এলাকার বাগে জান্নাত নূরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক তারই ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে ধরা পড়ে এখন জেলে। হুজুর অবশ্য সব দোষ অদৃশ্য শয়তানের ওপর চাপিয়ে দিয়ে বলেছে, শয়তানই নাকি তাকে দিয়ে এ কাজ করিয়েছিল। এ জাতীয় ঘটনার তালিকা আরও লম্বা করা যায়, কিন্তু অপরাধের প্রকৃতি ও গভীরতা বুঝতে এটুকুই যথেষ্ট।

ধর্ষণের ঘটনা এদেশে বরারবই উদ্বেগজনক মাত্রায় ছিল। সাম্প্রতিক সময়ের মতো এ বিষয়ে উদ্বেগ জনপরিসরে বিশেষত নিকট-অতীতে এতটা তীব্র ছিল না। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে– কেন এমনটি হচ্ছে। বিষয়টি পেশাদার সমাজবিজ্ঞানীদের জন্য প্রভূত গবেষণার খোরাক জোগাবে, সন্দেহ নেই। সাদামাটা চোখে এ কথা বলা যেতেই পারে, সমাজে মূল্যবোধের ভয়াবহ রকম অবক্ষয় নেমে এসেছে। না হয়, একজন জন্মদাতা পিতা কেমন করে তার ঔরসজাত সন্তানের ওপর উপগত হতে পারে, কিংবা একজন পিতৃপ্রতিম শিক্ষক তার সন্তানসম ছাত্রীর কাপড় খুলে নিতে পারে– ভাবনাতেই আসে না। তাহলে কি আমরা এক অন্ধকার গহ্বরের দিকে এগিয়ে চলেছি? গত ক’দিনের পত্রপত্রিকার খবর দেখে তো তা-ই মনে হয়।

কেউ যদি বলেন, যা ঘটছে তা লক্ষণ মাত্র; ব্যাধি নয়; তাহলেও হয়তো ভুল হবে না। আর বহু আগে জন্ম নেওয়া ব্যাধিটা ইতোমধ্যে সমাজের অনেক গভীরে ছড়িয়ে পড়েছে, ঠিক ক্যান্সারের মতো। সমাজের বৃহত্তর অংশের কাছে নারী নিছক একটা ভোগের সামগ্রী বৈ কিছু নয়। এটি এমনই এক সমাজ, যেখানে প্রকাশ্যে প্রচার করা হয়– নারীকে স্রষ্টা সৃষ্টিই করেছেন পুরুষের ভোগের জন্য। অতএব পুরুষের অধিকার রয়েছে নারীকে যেভাবে খুশি ভোগ ও ব্যবহার করার। এমন ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে– বৈধ পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বাইরে আসা কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হলে দোষ ওই নারীরই হবে! আবার সমাজের আধুনিক দাবিদার অংশেও পণ্যের বিজ্ঞাপন ও নানা অনুষ্ঠানে নারীকে ভোগ্যপণ্যরূপেই তুলে ধরা হয়। দুর্ভাগ্যবশত, এসবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক কোনো পদক্ষেপ বা প্রতিবাদ দেখা যায় না। 
সমাজবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, ধর্ষণ একটি মানসিক ব্যাধি। অবশ্যই এটি একটি ব্যাধি। যারা ধর্ষণের মতো ভয়াবহ কাজ করে বা করতে পারে, নিঃসন্দেহে তারা মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত। বিষয়টি যত না ব্যক্তিগত, তার চেয়ে অনেক বেশি সামাজিক। কারণ, দিনশেষে সবাই আমরা সমাজের সন্তান। তাই আচার-আচরণে সমাজের প্রভাব কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব। রুগ্‌ণ সমাজ রুগ্‌ণ মানুষেরই জন্ম দেয়।  আমরাও এক রুগ্‌ণ সমাজে বাস করছি। ক্রমে সমাজের রুগ্‌ণতা আমাদের মনন ও মজ্জায় ছড়িয়ে পড়ছে। অধিকাংশই তা বুঝতে পারছেন না। যারা পারছেন, তারাও অসহায়ের মতো নিজেকে সমাজের কাছে সমর্পণ করে বসে আছেন। ফলে ব্যাধিটা বাড়ছেই।

আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে দেশে যে বিশাল অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কিন্তু অবকাঠামোর সঙ্গে যে সামাজিক উন্নয়নের প্রয়োজন ছিল, তারা তা করেনি। এই না-করাটাও ছিল স্বাভাবিক। কারণ কোনো বুর্জোয়া দলই সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে মাথা ঘামাতে চায় না। সমাজ যত রুগ্‌ণ থাকে, বুর্জোয়াদের শাসন টিকিয়ে রাখা ততই সহজ হয়। বুর্জোয়া পুঁজিবাদী শাসন তাই সমাজ নিয়ে ভাবতে চায় না; ব্যক্তি নিয়ে ভাবে। ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় সমাজ থেকে। এটাই পুঁজির ধর্ম। এখানেই সব ব্যাধির বীজ লুকোনো। ধর্ষণ-সংস্কৃতি তারই অনিবার্য পরিণতি। উন্নত পুঁজিবাদী সমাজে অবশ্য এমনটি দেখা যায় না। কারণটা শিক্ষা। শিক্ষা তাদের ব্যক্তিক বিকাশের উন্নততর স্তরে নিয়ে গেছে। আমরা সেখানে পৌঁছতে পারিনি। উন্নত দেশগুলোতে বিরাজমান আইনের শাসনও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা আমাদের দেশে প্রায় অনুপস্থিত। বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত আন্দোলনের চাপে এখানে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া আইন তৈরি হয়েছে বটে, সে আইনের প্রয়োগ নেই বললেই চলে। এ জন্য একদিকে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে নারী অধিকার সম্পর্কিত সচেতনতার অভাব এবং প্রচলিত পুরুষতান্ত্রিক ধ্যানধারণার প্রাবল্যকে যেমন দায়ী করা যায়; অন্যদিকে ঔপনিবেশিক আমলের বিচার ব্যবস্থার ধারাবাহিকতাও কম দায়ী নয়।

অন্তত দুই দশক ধরে বাংলাদেশ মাদকের এক স্বর্গরাজ্যে রূপান্তরিত হয়েছে; আমরা সবাই তা জানি, কিছু বলি না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে বিস্তৃত হয়েছে মাদক ব্যবসার রুট। এই সূত্র ধরে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম হয়ে উঠেছে মাদকের নিরাপদ হাব। বেকার, কর্মহীন যুবসমাজের একটি বড় অংশ এখন মাদকনির্ভর। কেউ কারবারি, কেউ ভোক্তা। কেউ কেউ রাতারাতি হয়ে উঠছে লাখোপতি। আবার কেউ সবকিছু হারিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন। শুধু যুবসমাজ নয়, মধ্যবয়সীরাও মাদকে ব্যাপক আক্রান্ত হচ্ছে। এই মাদকাসক্তদের একটি বড় অংশই বাস্তব কারণে যৌন বিকৃতিতে ভুগছে। ধর্ষণ তো যৌনতারই এক বিকৃত রূপ। আজ যখন আমরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলছি, এই বাস্তবতাকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এই নারী-বৈরী রাষ্ট্র ও সমাজ পাল্টে দেওয়ার একটা সুযোগ তৈরি করেছিল। বিশেষত গত ৫৩ বছরে ক্ষমতাসীনদের ব্যর্থতায় তা কাজে লাগানো যায়নি। ইদানীং যা চলছে, তা এক প্রকার নারীবিরোধী প্রতিবিপ্লব। বিগত পাঁচ দশকে সংগ্রামের মাধ্যমে সংসারে ও বাইরে নারী তার নিজের জন্য যতটুকু পরিসর তৈরি করতে পেরেছে, তাও যেন সংকুচিত হতে চলেছে। আজকের ধর্ষণ মহামারিকে এই দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখতে হবে। একে ঠেকাতে হলে নারীবান্ধব সাংস্কৃতিক-সামাজিক বিপ্লবের কোনো বিকল্প নেই।

মোশতাক আহমেদ: জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা ও কলাম লেখক

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবশ য

এছাড়াও পড়ুন:

লরা উলভার্ট: হিমালয়ের চূড়ায় এক নিঃসঙ্গ শেরপা

লরা উলভার্ট- দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। বয়স মাত্র ছাব্বিশ, কিন্তু মনের দৃঢ়তায় যেন পাহাড়। এবারের ২০২৫ নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন প্রোটিয়া আশার একমাত্র আলোকবর্তিকা। নিজের একক নৈপুণ্যে, এক অসম্ভব সাহসিকতায় দলকে টেনে তুলেছিলেন ফাইনালের মঞ্চে।

সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে ফেলেছিলেন ১৬৯ রানের অনবদ্য ইনিংস। যেন একক নাটকের একমাত্র নায়িকা তিনি। আর ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন হিমালয়ের মতো দৃঢ় হয়ে। একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন অনবদ্যভাবে। শতরান ছুঁয়ে যখন আকাশে ছুড়লেন ব্যাট, তখন মনে হচ্ছিল, স্বপ্নের ট্রফি যেন হাতের নাগালেই। কিন্তু ক্রিকেটের নির্মম বাস্তবতা! উলভার্ট যখন সাজঘরে ফিরলেন, ঠিক তখনই প্রোটিয়া শিবিরে নেমে এল নীরবতা। জয় হাতছাড়া হলো নিঃশ্বাস দূরত্বে।

আরো পড়ুন:

আরব আমিরাতকে ৪৯ রানে গুঁড়িয়ে ইতিহাস গড়ল যুক্তরাষ্ট্র

মিতালিকে ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়লেন মান্ধানা

চোখের কোণে জলের কণা তখনও ঝলমল করছিল। সেটা ঘামের ছিল, নাকি অপূর্ণতার অশ্রু, তা কেউ জানে না। কিন্তু বোঝা যাচ্ছিল, হৃদয়ের গভীরে আগুন জ্বলছে। একটা স্বপ্নের দগ্ধ ছাই হয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা।

তবুও এই ব্যর্থতার মাঝেই উলভার্টের জয় আছে। বিশ্বকাপে তিন ফাইনাল, টানা তিনবার! এবং প্রতিবারই দলের একমাত্র ভরসা ছিলেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপে করেছেন ৯ ম্যাচে ৫৭১ রান, গড়ে ৭১.৩৭। যা নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ। এর আগে অ্যালিসা হিলির ৫০৯ রান ছিল শীর্ষে।

শুরুটা ছিল নিস্তরঙ্গ- প্রথম ম্যাচে মাত্র ৫, পরেরটিতে ১৪। কিন্তু ধীরে ধীরে আগুন জ্বলে উঠল তার ব্যাটে। ভারতের বিপক্ষে ৭০, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ৬০, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯০, আর সেমিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬৯। প্রতিটি ইনিংস যেন নিজের সীমাকে ছাপিয়ে যাওয়া একেকটি যাত্রা।

তবে উলভার্টের কীর্তি শুধু এই বিশ্বকাপেই নয়। ২০২৩ ও ২০২৪ দুই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। প্রতিবারই দলকে তুলেছিলেন ফাইনালে। কিন্তু ভাগ্য যেন নিষ্ঠুরভাবে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তার দিক থেকে। তিনটি ফাইনাল, তিনটি পরাজয়।

তবু লরার গল্পটা হারের নয়- এ এক অনমনীয়তার গল্প, এক নিঃসঙ্গ অভিযাত্রার গল্প। যেমন শেরপা অক্সিজেনহীন উচ্চতায় পৌঁছে দেয় অন্যদের। কিন্তু নিজে ফিরে আসে নীরবে, তেমনি উলভার্টও দলের স্বপ্নগুলো কাঁধে তুলে বয়ে নিয়েছেন, একা।

ফাইনাল শেষে ভারতীয় খেলোয়াড়রাও যখন এগিয়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলেন, তখন বোঝা গেল; এই হার, এই অশ্রু, এই নীরবতা- সবই সম্মানের প্রতীক।

রবিবার ফাইনাল শেষে লরা বলেছেন অনেক কথা। সেখানে হাতাশার কিছু পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেছে প্রেরণা ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস।

“আমি মনে করি, ২০২৩ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (নিউল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত) পর থেকেই আমাদের জন্য অনেক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল। সেই সময় থেকেই ঘরোয়া পর্যায়ে কেন্দ্রীয় চুক্তির ব্যবস্থা চালু হয়। আমাদের দলের গভীরতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটা ছিল এক বিশাল পদক্ষেপ।”

“এরপরের (২০২৪ সালের) বিশ্বকাপটা আমাদের দলের নামটা বিশ্ব ক্রিকেটে আরও বড় করে তুলেছে, আমার তাই মনে হয়। এখন আমরা এমন একটি দল, যারা নিয়মিত ফাইনালে পৌঁছাচ্ছে। যেখানে আগে এটা একবারের সাফল্য বলেই ধরা হতো।”

“টানা তিনবার ফাইনালে উঠতে পারাটা সত্যিই গর্বের বিষয়। এটা প্রমাণ করে আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে এবং দলীয় কাঠামোয় সঠিক দিকেই এগোচ্ছি। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের এই ফলেই আমরা এখানে পৌঁছেছি। আশা করি, আমরা এমন আরও ফাইনাল খেলতে থাকব… আর একদিন, হ্যাঁ, একদিন আমরা অবশ্যই একটা জিতব।”

টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স নিয়ে উলভার্ট বলেন, “আমার মনে হয়, আমাদের এই আসরটা অসাধারণ কেটেছে। ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছানোই একটা বড় সাফল্য। আমরা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ ক্রিকেট খেলেছি। এই বিষয়টা নিয়েই আমি সবচেয়ে বেশি গর্বিত।”

“একপর্যায়ে আমরা টানা পাঁচটা ম্যাচ জিতেছিলাম। যা আমাদের দলের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। দুই দলের মধ্যকার সিরিজগুলোতে আমরা সবসময় এই ধারাবাহিকতা পাই না। তাই বড় মঞ্চে, বড় টুর্নামেন্টে এমন পারফরম্যান্স দিতে পারাটা সত্যিই গর্বের। আমরা প্রমাণ করেছি, বড় আসরে দক্ষিণ আফ্রিকাও এখন বড় দল।” 

সত্যিই তাই। লরার নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা এখন বড় দল। হয়তো একদিন, কোনো এক প্রভাতে, লরা উলভার্ট সেই অধরা ট্রফিটা ছুঁয়ে দেখবেন। কিন্তু আজকের দিনে, তিনি রয়েছেন বিশ্বকাপের হিমালয়ের চূড়ায়, এক নিঃসঙ্গ শেরপা হয়ে। যিনি নিজের কীর্তিতে চূড়ায় উঠেছেন।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ