গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকার গ্লোবাস কারখানায় শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিবাদ ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আজ বুধবার সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। এ সময় শ্রমিকেরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তখন পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়।

শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার মৌচাক এলাকায় গ্লোবাস ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় এক নারী শ্রমিককে নির্যাতনের প্রতিবাদ করেন তাঁর সহকর্মীরা। এ সময় শ্রমিকেরা কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ সেগুলো বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দেয়। তবে পরদিন থেকে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর শ্রমিকেরা গতকাল মঙ্গলবার মহাসড়ক অবরোধ করেন। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ গতকাল নোটিশ টাঙিয়ে দেয়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘শ্রম আইনের ১৬ ধারা অনুযায়ী, ১২ মার্চ থেকে গ্লোবাস কারখানা লে–অফ ঘোষণা করা হয়েছে।’

আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রমিকেরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয় এবং ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা। আধা ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শ্রমিকেরা মৌচাক-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের অবস্থান নিয়ে বেশ কয়েকটি কারখানা ভাঙচুর করেন। পরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কগুলোয় অবস্থান নেন।

আজ সকাল ১০টার দিকে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, শ্রমিকেরা আজও সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছিলেন। প্রথমে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করা হয়। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু

তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। 

রোববার তেহরান দূতাবাস এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞ‌প্তিতে বলা হয়, ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দূতাবাস ইমার্জেন্সি হটলাইন স্থাপন করেছে। ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের নিম্নোক্ত মোবাইলফোন নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপসহ সরাসরি যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
+ ৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ ও  +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫।

সম্পর্কিত নিবন্ধ