নোয়াখালীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক ছাত্রীর হাত-মুখ চেপে ধরে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। গতকাল বুধবার রাত ১০টা থেকে উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তায় তারা সড়ক অবরোধ করেন। এর আগে, একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী টু মাইজদী আঞ্চলিক মহাসড়কে দরবেশপুর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এ ঘটনা ঘটে।   

বেগমগঞ্জের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো.

জাহেদ হোসেন জানান, বুধবার বেগমগঞ্জের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজক্যাম্পাসে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ইফতার মাহফিল ছিল। ১৫তম ব্যাচের এক ছাত্রী ইফতার মাহফিল শেষে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন। পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অটোরিকশাটি চৌমুহনী টু মাইজদী আঞ্চলিক মহাসড়কে দরবেশপুর এলাকায় পৌঁছালে পেছনের সিটে বসা পুরুষ যাত্রীরা তার হাত মুখ চেপে ধরে। একপর্যায়ে তার মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।

জাহেদ হোসেন আরও জানান, পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ছাত্রী চিৎকার করলে একলাশপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় অটোরিকশা থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। পরে চালক ও যাত্রীসহ তিনজন পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ভুক্তভোগী ছাত্রী তার সহপাঠীদের জানান। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টাব্যাপী ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন। রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠক হয়।  

জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ার বলেন, বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদের কথা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীর চৌমুহনীতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শহরে ঝটিকা মিছিল করেছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে তাঁরা চৌমুহনী রেললাইন সড়ক থেকে মিছিল বের করেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল শিহাব নিজের ফেসবুকে ঝটিকা মিছিলটি লাইভ প্রচার করেন। পরে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ মিছিলে অংশগ্রহণকারী পাঁচজন নেতা-কর্মীকে আটক করে।

ফেসবুকে প্রচার করা ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেলে পৌনে চারটার দিকে উপজেলার চৌমুহনী রেলস্টেশন এলাকা থেকে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি রেললাইনের পশ্চিম পাশের সড়ক দিয়ে রেলগেট হয়ে শহরের ব্যস্ততম ফেনী-চৌমুহনী মহাসড়কে ওঠে। মিছিলকারীদের হাতে ‘হটাও ইউনূস, বাঁচাও দেশ, শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ লেখা ব্যানার ছিল। ২৫ থেকে ৩০ জন কিশোর ও তরুণ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি মহাসড়কের প্রায় ২০০ গজ অতিক্রম করে শহরের হাসান সড়কের মাথায় গিয়ে শেষ হয়।

জানতে চাইলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ঝটিকা মিছিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান লিটন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, মিছিলকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। তিনি নিজেই অভিযানে ব্যস্ত আছেন। এখন পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাতটা) পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সবাই চিহ্নিত। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নোয়াখালীর চৌমুহনীতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫