হাতকড়া খুলে পালানো গণধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
Published: 13th, March 2025 GMT
ঢাকায় আদালতের সিঁড়ির নিচ থেকে হাতকড়া খুলে পালানো গণধর্ষণ মামলার আসামি শহিদুল ইসলামকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। গ্রেপ্তার শহিদুল হক কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার সেকেন্দারনগর এলাকার রোকন মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪'র কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত রাত পৌনে ২টার দিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার গোয়াতলা এলাকা থেকে শহীদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলাম ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি। গত ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা থেকে শহিদুল ইসলামসহ ১২ জনকে হাতকড়া ও কোমরে রশি লাগিয়ে ঢাকার জজ কোর্ট হাজতখানায় নিয়ে যায়। পরে হাজতখানা থেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলার উপস্থাপনের জন্য রওয়ানা করেন। আদালতের উত্তর পাশের সিঁড়ির নিচে নিয়ে যাওয়ার সময় আসামি শহিদুল ইসলাম কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায়। পরে অনেক চেষ্টা করেও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে ‘ধর্ষণ’ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
ভাগ্নিকে ‘ধর্ষণ’ চেষ্টার আসামি নাটোরে গ্রেপ্তার
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঢাকা পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে দেশব্যাপী জানানো হয়। সেখান থেকে জানানোর পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪'র কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.
ঢাকা/মিলন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর য ব ১৪ হ তকড়
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।