পরিহারযোগ্য মৃত্যু রোধে সচেতনতা দিবস পালিত
Published: 13th, March 2025 GMT
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে ‘পরিহারযোগ্য মৃত্যু রোধে আন্তর্জাতিক সচেতনতা দিবস’ পালন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে এ উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবন চত্বর থেকে একটি র্যালি বের করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে র্যালির নেতৃত্ব দেন এবং দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। র্যালিটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
অ্যাভইডেবল ডেথ নেটওয়ার্ক (এডিএন) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সহযোগিতায় এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন ড.
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান দুর্যোগ মোকাবেলা ও ঝুঁকি হ্রাসে আগাম সতর্কবার্তা প্রাপ্তির উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “দুর্যোগের পূর্বাভাস পাওয়া গেলে অনেকাংশেই জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা সম্ভব। দুর্যোগপূর্ণ এলাকাগুলোতে সারাবছর সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। জনসচেতনতা বাড়াতে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে।”
পরে বিভাগীয় মিলনায়তনে ‘দুর্যোগের আগাম সতর্কতা: পরিহারযোগ্য মৃত্যু রোধে আন্তর্জাতিক সচেতনতা দিবস’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগীয় চেয়ারপার্সন ড. ফাতিমা আক্তারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান ।
সেমিনারের দ্বিতীয় পর্বে আবহাওয়া, জনস্বাস্থ্য, জরুরি প্রতিক্রিয়া এবং দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব